রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী ও দোকানকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়াকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা কলেজের ৫ শিক্ষার্থীকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শান্তা আক্তার বৃহস্পতিবার এ শুনানি করেন। শুনানীতে ওই ৫ শিক্ষার্থীকে স্বশরীরে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এই পাঁচজন হলেন- ঢাকা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ুম (২৪), একই বর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পলাশ মিয়া (২৪) ও মাহমুদ ইরফান (২৪), বাংলা বিভাগের ফয়সাল ইসলাম (২৪) এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের জুনায়েদ বুগদাদী (১৯)। গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান। পরে ওই পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হয়।
রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, “অত্যন্ত স্পশর্কাতর ঘটনার এ মামলায় আসামিদের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই তাদের রিমান্ডে পাঠিয়ে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।” এর বিরোধিতা করে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, তারা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, পুলিশ সন্দেহের বশে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
গত ১৮ এপ্রিল ইফতারের টেবিল বসানো নিয়ে নিউ মার্কেটের দুই দোকানের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু হয়। দুইদিন ধরে থেমে থেমে ওই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষের সময় ডেলিভারিম্যান নাহিদকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান। ২০ এপ্রিল নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওই মামলায় তদন্তে নেমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে তারা গ্রেপ্তার করেন।