মাঙ্কিপক্সের জরুরি অবস্থা তুলে নিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১৩, ২০২৩, ০১:০৯ এএম

মাঙ্কিপক্সের জরুরি অবস্থা তুলে নিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

শেষ পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা তুলে নিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রায় ১০ মাস পর বিশ্বসংস্থাটি বৃহস্পতিবার জানায় এমপক্স প্রাদুর্ভাব আর বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ নয়। তাই এ বিষয়ক বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা তুলে দেওয়া হলো।

গত বছর ২৪ জুলাই মাঙ্কিপক্স নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রোগের প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগ বলে চিহ্নিত করা হয়। এরপর থেকে এই রোগে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যায়।

গত সপ্তাহে করোনাভাইরাস মহামারি আর ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। আর এরপরই মাঙ্কিপক্স সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করল ডব্লিউএইচও।

রোগটি আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল এবং বছরখানেক আগে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, এই রোগটি এখনও খানিকটা হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে, বিশেষ করে আফ্রিকার সেই অঞ্চলগুলোতে যেখানে এই ভাইরাসটি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে।

সংস্থাটির প্রধান অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোভিড-১৯ এর মতো এর অর্থ এই নয় যে কাজ শেষ হয়ে গেছে। বিশ্বের সব দেশকে সমন্বিতভাবে এই বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে। এমপক্স এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে গেলেও আবারও এই দুটির সংক্রমণ ফেরত আসার হুমকি রয়ে গেছে। দুটো ভাইরাসই সঞ্চালিত হতে থাকে এবং উভয় ভাইরাসই আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণও পারে থাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাবের সময় ১১১টি দেশ থেকে ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার এবং তাদের মধ্যে ১৪০ জনের মৃত্যুর খবর মেলে।

সূত্র: সিএনএন

Link copied!