বলা যায়, এই সময় সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাংলা সিনেমার সুশ্রী নায়িকা পরী মনি। দেশে এবং দেশের সীমানা পেরিয়েও তাকে নিয়ে কথা হচ্ছে। অভিজ্ঞতা যতই হচ্ছে ততই সুনাম কুড়াচ্ছেন তিনি। কিছুদিন আগে ‘ফোর্বস ম্যাগাজিন’-এর আলোচনায়েও এসেছেন ।
এক কথায় বলা যায়- বাংলাদেশের সিনেমার এই সংকটকালে এককভাবেই বাজিমাত করে চলেছেন পরী। তার বর্তমান অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির খণ্ডাংশ জানা গেলো দ্য রিপোর্ট ডটলাইভের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায়।
ব্যস্ততার অবসরে পরী মনি ঘুরতে ভালোবাসেন। তাইতো সুযোগ পেয়ে উড়াল দিলেন দুবাইতে। থাকলেন সপ্তাহখানেক। অবশ্য এই ট্যুর নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং কয়েকটি অনলাইনে গুজব ছড়িয়েছে। তার জন্য বিব্রতকর হতে পারতো। তবে এসব কোনো কিছুতে পাত্তা নেই তার। তিনি বলেন, ‘কোথাও আমাকে নিয়ে গুজব রটলে আমি ঘুমাই আর চিল করি।’
কথা প্রসঙ্গে তিনি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, ‘শুরুতে এসবে খুব পাত্তা দিতাম আমি। হুট করেই রিয়েক্ট করে ফেলতাম। কিন্তু একটা সময় বুঝে গেলাম এখানে কিছু লোকের কাজেই হলো পিছে পরে থাকা। এদের মতো আমি পিছে পরে থাকতে চাই না। আর তখনি নিজেকে ঘুরিয়ে নিলাম। কাজের সময় শুধু নিজের কাজে থাকাকেই একমাত্র প্রাধান্য করে নিলাম। ব্যস আরাম আর আরাম। হে হে!’
দুবাই সফর নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘একটা স্মরণীয় ট্যুর চেয়েছিলাম হয়েছেও তা-ই। কোভিড-এর ফার্সট টাইম টায় মনে করে দেখুন কি আমরা ভাবতে পেরেছিলাম এত তাড়াতাড়ি সামলে নিতে পারবো! কবে আবার আমরা ঘুরতে বের হবো! এসব ভাবনা অনেক দূরের মনে হতো তখন। তাই সুযোগ পেতেই হাত ছাড়া হতে দেইনি।’
দুবাই আর বাংলাদেশে পার্থক্য কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ দুবাই দুবাই। মানে মানুষের পার্থক্যটা আর কি; মেন্টালি/ মেচ্যুরিটি এইসব আর কি। দুই দেশ এর অনেক পার্থক্য পেয়েছি। তবে এই ৭/৮ দিনের মধ্যে ট্যুর করে এতটা কী বলা যায়? দুবাই আমার জীবনের একটা সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে।
তবে সুন্দর ভ্রমন শেষে দেশে ফিরতেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো তার। দেশে ফিরেই পরী মনি ব্যস্থ হয়ে গেলেন তার নানুকে নিয়ে। কয়েকদিন ধরে তার নানু অসুস্থ। এই মুহূর্তের ব্যবস্থা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, নানুর সুস্থতার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া এই মুহূর্তে আর এই জগতের কিছু আমাকে ভাবাতে পারছে না।’
অভিনয়ের পাশাপাশি সোনার তরী নামে পরী মনির একটি প্রোডাকশন হাউজও আছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, সিনেমা প্রোডাকশন মানে আমার সোনার তরী হাউজ নিয়ে লাস্ট কয়েক মাস ধরে বিজি আছি। ঈদের পর একটা সিনেমার প্রিমিয়ারের সুখবর দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। এ নিয়ে আর বেশি বলতে চাই না এখনি।
সিনেমার বাইরে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিজের ছোট ছোট বিজনেসগুলো কে দায়িত্বের সাথে যত্ন নিয়ে বড় করতে চাই। অনেক বড় বিজনেস ওমেন দেখতে ভালোই লাগবে মনে হচ্ছে।’
প্রযুক্তির বিকাশে বাংলাদেশের সিনেমায় মন্দ সময় যাচ্ছে তবুও পরী মনি আলোচনায় সেটা কীভাবে? তিনি বলেন, ওই যে আমি যা করি মন দিয়েই করি। আর আমি বিশ্বাস করি আপনি আপনার কর্ম মতো ফলটা জিতে যাবেন। আমি অনেক খুশি না হলেও হতাশ হই না একদম। ভালোটার জন্য একটু সময় দিতেই হবে। পরিবর্তন কে স্বাগতম জানিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সেটাই উচিৎ বলে মনে হয়।
ব্যক্তিজীবনকে কীভাবে দেখেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, একদম ব্যক্তিগতভাবেই। ওই যে একটা কথা আছে না-‘যা কিছু ব্যক্তিগত তাই পবিত্র’।
ভক্ত-অনুসারীদের উদ্দেশ্যে পরী মনি বলেন, ‘জীবনকে ভালোবাসা দিন। নিজেকে ভালোবাসাটা বড্ড জরুরী আমাদের। সবার হিংসা বিহীন সুন্দর জীবন হোক।’