আর ৯ দিন পর মিলবে ইলিশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ১৪, ২০২১, ০২:৪৮ এএম

আর ৯ দিন পর মিলবে ইলিশ

প্রতিবছর আগস্ট মাসেই ইলিশ মাছের সরবারহ বাড়লেও চলতি বছরে এখনও বাজারে ইলিশের দেখা মেলাই ভার। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে কক্সবাজারে প্রচুর ইলিশে ধরা পড়ায় প্রথাগত এলাকাগুলোতে ইলিশ ধরা পড়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছে জেলেরা। চলতি সপ্তাহ পরেই আগামী ২২ আগস্ট পূর্নিমাতেই ইলিশ মাছের ঝাঁকের দেখা পাবে জেলেরা বলে জানায় গবেষক ও সংশ্লিষ্টরা।

২২ শে আগস্ট মিলবে ইলিশ

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদীকেন্দ্র চাঁদপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আনিছুর বলেন, ‘অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ার–ভাটার প্রাবল্য সৃষ্টি হয়। এতে ইলিশ মাছের চলাচল বেড়ে যাবে। তাই সামনের পূর্ণিমাতে খুব ভালো পরিমাণে আসবে।

৮ আগস্ট অমাবস্যা গেছে। এর ১৪ দিন পর ২২ আগস্ট পূর্ণিমা। পূর্ণিমার পরের সময় ইলিশের আধিক্য হবে। ইলিশ যে মিলবে এর লক্ষণ দেখা গেছে কক্সবাজারে। ছয় দিন ধরে কক্সবাজারের ফিসারিঘাটে প্রচুর ইলিশ আসছে।

নিষেধাজ্ঞা ছিল দুই মাসের বেশি

জুলাইয়ে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার তিন সপ্তাহ পরও ইলিশের সরবরাহ ভালো হয়নি। জেলেরা আছেন পূর্ণিমার আশায়। ইলিশের গতিপথ পরিবর্তনেরও বিশেষ ঘটনা ঘটেনি। মাছটির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ভিন্ন। এ মাছ পাওয়া না পাওয়ার সঙ্গে অমাবস্যা-পূর্ণিমা, পানির গতি, ঘোলাত্ব এবং বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক কিছু কারণ থাকে। সেসব বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে।

কক্সবাজারে কেন এত ইলিশ

আনিছুর রহমান বলেন, ইলিশ একটি দল ধরে চলাচল করে। একদিকে চলতে থাকলে অন্যদিকে কেউ থাকে না। এটি অন্য মাছের মতো সব জায়গায় সব সময় থাকে না। কক্সবাজার উপকূলের পর মিরসরাই, নোয়াখালী, হাতিয়া, ভোলার চরফ্যাশনের পর পটুয়াখালীর দিকে আসতে পারে। এবার কক্সবাজার দিয়ে ইলিশের দল ঢুকেছে। প্রতিবার যে একই পথ দিয়ে আসবে, তা নয়। এমনও হয়েছে যে পটুয়াখালীর উপকূল দিয়েও ঢুকেছে।

পানির গতিবেগ বেশি না হলে উজান থেকে ইলিশ আসতে চায় না। এই গতিবেগে নদীর লবণাক্ততা কমে। ইলিশের আসার পথ সুগম হয়। এবার নাফ নদীসংলগ্ন অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তাই সে অঞ্চলে ইলিশ বেশি মিলেছে।

সেপ্টেম্বরে পূর্ণাঙ্গ ইলিশের সরবারহ

অমাবস্যার চেয়ে পূর্ণিমায় ইলিশ বেশি মেলে। কারণ, এ সময় জোয়ার প্রবল হয়। আগস্টের পর সেপ্টেম্বরে আবারও দুই দফা অমাবস্যা-পূর্ণিমা আসবে। তখনো ইলিশ পাওয়া যাবে। আর অক্টোবরের পূর্ণিমায় প্রজননের সবচেয়ে বড় মৌসুম। এ সময়টায় অবশ্য ইলিশ ধরা ২২ দিনের জন্য বন্ধ থাকে। তখনই হয় ব্যাপক প্রজনন।

ইলিশের কম প্রাপ্তিকে সাময়িক বলে মনে করেন মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ শাখার উপপ্রধান মাসুদা আরা মমি। তিনি বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক হারে ধরা ইলিশ পড়েছে। অন্য জায়গাগুলোতেও ভালো ইলিশ মিলবে বলে আমাদের ধারণা। এবার ইলিশ আসতে বেশি দেরি হয়নি।

Link copied!