ইউরোপ নিজের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল: সানা মারিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিসেম্বর ৩, ২০২২, ০৯:১৩ পিএম

ইউরোপ নিজের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল: সানা মারিন

ইউরোপ তার নিজের নিরাপত্তার জন্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল তা ইউক্রেইন যুদ্ধেই প্রমানিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। ইউরোপকে অস্ত্র উৎপাদনসহ নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদারে তাগিদ দেনও তিনি।

স্থানীয় সময় শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে দেশটির এক গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার উচিত আপনাদেরকে নির্মম সত্যটা বলা। ইউরোপ এখন মোটেও যথেষ্ট শক্তিশালী না। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া আমরা বিপদে পড়বো।’

ফিনল্যান্ড সম্প্রতি প্রতিবেশী সুইডেনের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন উত্তর আটলান্টিক সামরিক নিরাপত্তা জোট নেটোতে যোগ দেওয়ার আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে। আবেদন অনুমোদন পেতে নেটোর সব সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন।  

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেইনে এখন পর্যন্ত যত সামরিক সহায়তা গেছে, তার সিংহভাগই যুক্তরাষ্ট্রের। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর ওয়াশিংটন এখন পর্যন্ত কিইভকে ১৮ হাজার ৬০০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।  গত মাসে যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে দেওয়া এক গবেষণা ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমির কিয়েল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউক্রেইনকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ); এরপরই আছে যুক্তরাজ্য। কিন্তু তাদের সাহায্যের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক কম। 

এদিকে ইউক্রেইনে অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর মজুদেও টান পড়ছে। বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করেই ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী আরও  জানিয়েছেন ইউরোপের প্রতিরক্ষা জোরদারে অনেক কিছু করা দরকার।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনকে বিপুল অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে, ব্যাপক আর্থিক সহায়তা, ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সানা মারিন বলেন, ‘যখন ইউরোপের প্রতিরক্ষা, ইউরোপের প্রতিরক্ষা খাতের প্রসঙ্গ আসে, তখন সে সক্ষমতা তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত ইউরোপের, নিশ্চিত করা দরকার যেন আমরা ভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গেও মানিয়ে নিতে পারি।’

 

মারিন তার বক্তব্যে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ইউরোপের কিছু দেশের রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টারও সমালোচনা করেন।

Link copied!