ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম

ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ নয় জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ এপ্রিল ধার্য করেন।

বাদী পক্ষে আইনজীবী গাফ্ফর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজকে মামলাটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন শুনানি শেষে আদালত মামলার অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদকে নির্দেশ দেন। যা আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপ-প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমান। অজ্ঞাতনামাদেরও আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন সরকার এ মামলাটি দায়ের করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ পায়। ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থ বছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা। এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা।

অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ৬ টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে আসামি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অপর আসামিরা টাকাগুলি উত্তোলন করে আসামিরা আত্মসাত করে।

এ ছাড়া সমিতির গাড়ীসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে স্থানান্তর করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ চুরি করে আসামিরা। আসামিদের এই আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদফতরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি আবেদন করা হয়।

Link copied!