কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১৪, ২০২১, ০৮:১৭ পিএম

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটের আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। 

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ হাওলাদার জানান, নিহত আলাউদ্দিনের ভাই এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করে আমলি আদালত-২-এ একটি মামলা দিয়েছেন। রবিবার বিকেল ৩টায় মামলাটির শুনানি করার কথা বিজ্ঞ বিচারক এস এম মোসলে উদ্দিন মিজানের। 

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি মির্জা কাদেরের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা পিস্তল, শর্টগান, পাইপগান, রামদা, লোহার রড নিয়ে অর্ধশতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং প্রতিবাদ সভায় হামলা চালায়। এ সময় মামলার ৪নং আসামি নাজিম উদ্দিন বাদল তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আলাউদ্দিনের পেটে গুলি করে মারাত্মক জখম করে। এরপর ৫নং আসামি নাজিম উদ্দিন মিকনসহ তাদের সমর্থকরা আলাউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি গুলি করে।

পরে ৬নং আসামি মাঈন উদ্দিন কাঞ্চন তার হাতে থাকা লোহার রড আলাউদ্দিনের পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। পরে হামলাকারীরা চলে গেলে আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে নিহতের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলে তা সংশোধন করতে হবে বলে অভিযোগটি রেকর্ডভুক্ত করেনি পুলিশ। পরদিন শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও থানায় ওসির দেখা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান এমদাদ।

এমদাদের অভিযোগ, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, তার ভাই শাহাদাত হোসেন ও ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাসিককে আসামি করায় তার মামলাটি নেয়নি পুলিশ। এ ছাড়া তাদের নাম ওই এজাহার থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে।

Link copied!