ক্ষতিগ্রস্ত বিএম ডিপোর পুনর্গঠনের কাজ শুরু করল কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ০১:৫৮ এএম

ক্ষতিগ্রস্ত বিএম ডিপোর পুনর্গঠনের কাজ শুরু করল কর্তৃপক্ষ

স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে ডিপো। ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফায়ার সিস্টেমে ব্যাপক পরিবর্তন আনার পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নতুন নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে এটি আরও অত্যাধুনিক করার কাজ এগিয়ে চলেছে।

২৪ একর জায়গার উপর অবস্থিত এই কনটেইনার ডিপোর ভেতরেই ফায়ার পাম্প স্থাপন করা হচ্ছে। যেখানে ১৯ মিনিটের মধ্যেই পুরো ডিপো ফোম সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে। যার ফলে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলেও খুব সহজেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

এছাড়া অগ্নি দুর্ঘটনাটা এড়াতে ডিজেল ফায়ার পাম্প, ইলেকট্রনিক ফায়ার পাম্প ও জকি পাম্প স্থাপনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। এরমধ্যেই ডিপো চালুর জন্য নয়টি লাইসেন্সও নেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ডিপোটি চালুর আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, চলতি বছরের ৪ জুন উপজেলার শীতলপুর এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫১ জন মানুষের মৃত্যু হয়। এ ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হয়। সে ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ ডিপোটির কার্যক্রম বন্ধ রাখলেও ডিপোটির অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাসহ অন্যান্য অবস্থার পরিবর্তনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এর জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে উন্নয়ন কাজ শুরু করে।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিএম কনটেইনার ডিপো পরিদর্শনে যান আন্তর্জাতিক কনটেইনার শিপিং সংস্থা মার্স্ক ও সুইডেনের কোম্পানি এইচ এন্ড এমের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। ডিপোর সার্বিক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তাঁরা।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন এইচঅ্যান্ডএমের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাটস স্যামুয়েলসন, সুইডেন থেকে এইচঅ্যান্ডএমের বিজর্ন ব্লোমেগ্রেন, বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ক্যালেবো অ্যানেলি, গুলশান আরা মুন্নি, ফ্রান্সিস গোমেজ এবং মার্স্ক লাইনের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্লাউস কোয়েলার্ট প্যাগ, সুইডেন থেকে সোফিয়া পার্টোভি, নেদারল্যান্ড থেকে কার্লিন ভ্যান ডের মার্ক, অ্যাক্তা কোহলি, মানব মেহতা, অভিজিৎ পাল, রাশেদুজ্জামান রানা প্রমুখ।

বিএম কনটেইনার ডিপো লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন মাইনুল আহসান বলেন, নতুন ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে আছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ১৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আহত তিন কর্মীকে চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের দায়িত্বের পাশাপাশি তাদের ছেলেমেয়েদের অনার্স পর্যন্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। পড়ালেখা শেষ করে তাঁরা চাইলে ডিপোতে চাকরি করতে পারবে। তিন মাস ধরে কোম্পানির প্রফিট নেই। তবুও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

Link copied!