রক্তস্বল্পতার মতো জটিল সমস্যাটিতে অনেকেই ভুগলেও আরোগ্যের ব্যাপারে ঠিকমতো গুরুত্ব দেন না। বিশৃংখল জীবন, খাবারে অনিয়ম করা, খাবারে অরুচি হওয়া এসব অনেক কারণে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য শরীরে থাকা আয়রন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান হিসেবে কাজ করে।
শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে আয়রন। খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন থাকলে তা শরীরে আয়রনের (লৌহ) অভাবজনিত এনিমিয়া (রক্তস্বল্পতা) প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের রক্তে ১৩.৮ থেকে ১৭.২ গ্রাম/ডেসিলিটার; নারীর জন্য রক্তে ১২.১ থেকে ১৫.১ গ্রাম/ডেসিলিটার এবং শিশুদের রক্তে ১১ থেকে ১৬ গ্রাম/ডেসিলিটার হিমোগ্লোবিন থাকা স্বাভাবিক। কারও রক্তে হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কমে গেলে ধরে নিতে হবে তিনি রক্তাস্বল্পতায় ভুগছেন।
রক্তস্বল্পতা দূর করতে শরীরে আয়রনের পরিমাণ বা ভারসাম্য ঠিক রাখতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার। সাধারণত সবার বাসায়ই আছে এমন খাবার দিয়েই রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর করা যায়। এমন ৫টি খাবারের নাম জানাচ্ছি আজ-
ডিম
প্রতিদিন একটা ডিম, রক্তস্বল্পতাকে বিদায় দিন। দিনে মাত্র একটি ডিম খাওয়া অভ্যাস করলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি বা রক্তাস্বল্পতার সমস্যা থেকে সহজেই দূরে থাকা যাবে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিমের মতো সহজলভ্য, পুষ্টিকর খাবার রাখুন।
টমেটো
রক্তস্বল্পতা দূর করতে টমেটো খুবই কার্যকরী উপাদান। এতে থাকা আয়রন, ভিটামিন সি ও লাইকোপেন রক্তস্বল্পতাসহ নানা রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে সক্ষম। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন টমেটো।
খেজুর
খেজুরে রয়েছে ভরপুর আয়রন। এছাড়াও খেজুরের পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা যাবে না। রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখতে পারেন।
চীনাবাদাম
চীনাবাদাম খেলে শরীর যেমন শক্তি পায় তেমনি রক্তস্বল্পতার হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে রোজ চীনাবাদাম খেতে পারেন। চীনাবাদামে থাকা আয়রন আপনার শরীরকে রাখবে রক্তস্বল্পতা থেকে নিরাপদ।
মধু
মধু একটি উচ্চ ঔষধি গুণসম্পন্ন ভেষজ তরল। এই মধু রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। চিনির বদলে নানা খাবারে মধু যোগ করা যেতে পারে। এতে চিনির ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও বাঁচা যাবে, এর সঙ্গে দূর হবে রক্তস্বল্পতার সমস্যা।
