খোলা চুল বাঁধার ভিডিও ভাইরালের পর সেই তরুণীকে গুলি করে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ০২:৪০ এএম

খোলা চুল বাঁধার ভিডিও ভাইরালের পর সেই তরুণীকে গুলি করে হত্যা

ইরানে হিজাববিরোধী বিক্ষোভস্থলের মাঝে খোলা চুল বেঁধে ভিডিও ভাইরাল হওয়া হাদিস নাজাফি নামে সেই তরুণীকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বিরুদ্ধে।

বিবিসি, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী হাদিস নাজাফিকে তলপেট, গলা, বুক এবং হাতে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে।

নিউজউইক ও নিউজডটকমএইউ খবরে বলা হয়, কারাজ শহরে বিক্ষোভ চলাকালে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী তাঁকে বেশ কয়েকটি গুলি করে। ২০ বছর বয়সী হাদিসের এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তিনি মাসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানজুড়ে বিক্ষোভের প্রতীকে পরিণত হন।

হিজাব বিতর্কে প্রচণ্ড বিক্ষোভ আর আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ এখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। রাজধানী তেহেরানসহ দেশটির ২০টিরও বেশি শহরে আরও তীব্র হচ্ছে হিজাববিরোধী আন্দোলন।পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট-এসব এখন ইরানের শহরে শহরে সাধারণ ঘটনা।নারীদের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে এখন অংশ নিচ্ছেন সর্বস্তরের জনগণ। 

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সাকেজ থেকে আসা ২২-বছর বয়সী কুর্দি নারী মাসা আমিনি কোমায় তিন দিন কাটানোর পর হাসপাতালে মারা যান। আমিনি তার সাকাজের বাড়ি থেকে বের হয়ে রাজধানী তেহরানে গিয়েছিলেন। এসময় 'অযথাযথ' হিজাব পরার কারণে পুলিশ তাকে আটক করে। অভিযোগ, তিনি নারীদের হিজাব বা চাদর দিয়ে চুল ঢেকে রাখা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরার আইন ভঙ্গ করেছেন। পুলিশের একটি ডিটেনশন সেন্টারে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরপরই তিনি কোমায় চলে যান এবং মারা যান। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরান এখন জ্বলছে।

ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর ১৯৭৯ সাল থেকে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। সম্প্রতি ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির নারীদের পোশাক নিয়ে কড়াকড়ি বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণার কয়েক সপ্তাহের মাথায়ই এ ঘটনা ঘটে।

Link copied!