গ্রেপ্তার হলে হব, কিন্তু নির্বাচন চালিয়ে যাব: তৈমুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১৫, ২০২২, ০৭:১৮ পিএম

গ্রেপ্তার হলে হব, কিন্তু নির্বাচন চালিয়ে যাব: তৈমুর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে রবিবারের ভোটে মাঠে গ্রেপ্তার হলেও নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। মারা গেলেও মাঠ ছাড়বেন না বলেও তিনি জানান। শনিবার নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, “আমি প্রচার না, সংবাদ সম্মেলন করছি। আমি ভোট চাইনি। আমার ঘরে আগুন লাগিয়ে দিলে, আমি কী কথা বলব না। আমার লোকজন গ্রেপ্তার হচ্ছে। আমার গলায় আপনি ফাঁসি লাগিয়ে দেবেন, আমি কথা বলতে পারব না, সেটা তো হবে না। এটা নৈতিক দায়িত্ব।” এসময় ‍মেয়র  পদে লক্ষাধিক ভোটে পাস করার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।

মানুষের ওপর যত অত্যাচার হয়, ভোটাররা তত ঐক্যবদ্ধ হয় জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক এই উপদেষ্টা আরও বলেন, “ লক্ষাধিক ভোটে পাস করব। মরে গেলেও মাঠ ছাড়ব না। প্রশাসনকে বলব জনগণের সেবা করা আপনাদের দায়িত্ব, বহুবার রিকোয়েস্ট করেছি। এখন বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম। আগামীকালের ভোট যাইহোক আমরা মাঠে থাকব। গ্রেপ্তার হলে হব, কিন্তু নির্বাচন চালিয়ে যাব।”

তৈমুর আলম বলেন, “আজকে আপনাদের সামনে হাজেরা বেগম উপস্থিত আছে। তার স্বামী মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক। সে আমার বাড়িতে রাত দুটো পর্যন্ত ছিল। তাকে ঈদগাহের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই আমার দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছে। পাঠানটুলি এলাকার একটা ছেলে আহসান সেই এলাকায় আমার নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছিল। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এখনও তার খোঁজ পাইনি।”

মেয়র পদে স্বতন্ত্র এই প্রার্থী আরও বলেন, “এখানে অনেক লোক আছেন যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। এদের মধ্যে এমন কোন লোক নেই যাদের বাড়িতে দুই থেকে তিনবার লোক যায়নি। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনি আমাদের ওপর এত অত্যাচার করছেন কেন? প্রশাসনের এহেন কাজে আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পাপনও কাল এখানে ছিল। তাকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এভাবে আমার লোকদের গ্রেপ্তার করা হলে নির্বাচন কমিশন যে বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এটাই কী সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া।”

তৈমুর আলম খন্দকার  বলেন, “এখানে যারা আছেন তাদের জিজ্ঞেস করে দেখেন, পুলিশ কীভাবে অত্যাচার করছে। একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। ভোটারদের নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য প্রেশার দেওয়া হচ্ছে। নয়তো তাদের ভোট দিয়ে দেওয়া হবে।”

Link copied!