জবা ফুলের সৌন্দর্য ভালো লাগে না এমন কাউকে পাবেন না তবে এ ফুলের গুণাগুণ সম্পর্কে অবগত নয় অনেকেই। জবা ফুলের বেশ কিছু ওষধি গুণ রয়েছে। যারা জানেন তারা কিন্তু রূপচর্চায় ও চুলের যত্নে এই ফুলের ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই ফুল দিয়ে চা বানিয়ে খেয়েছেন কখনো? জবা ফুল থেকে তৈরি চা শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
জবা ফুলের চায়ের উপকারিতা জানলে কেউই মিস করতে চাইবেন না এই চা খাওয়া।
কোলেস্টেরল কমায়
জবা ফুলের চা হার্টে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। কোলেস্টেরলও জমতে দেয় না। এছাড়া ব্রেন ও হার্টের কোনো রকম ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় জবা ফুলের চা।
লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
সম্প্রতি বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে জবা ফুলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এর ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে অনেক উপকারও পাওয়া যায়। ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে
সম্প্রতি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশ করা এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এই বিশেষ চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ নিমেষে রক্তচাপকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
জবা ফুলের অ্যাসকরবিক অ্যাসিড শরীরে ভিটামিন সি’র চাহিদা মেটায়। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। যে কারণে সর্দি-কাশির আর্য়ুবেদিক ওষুধ তৈরিতেও জবা ফুল ব্যবহার করা হয়।
পিরিয়ডে আনে স্বস্তি
পিরিয়ডের সময় নিয়মিত জবা ফুলের চা খেলে পিরিয়ড ক্র্যাম্প এবং যন্ত্রণা অনেকটাই কমে। এছাড়াও হরমোনাল ইমব্যালেন্স কমাতেও এই পানীয়টি দারুণ কাজে আসে। তাই মেয়েরা যদি প্রতিদিন এই চা পান করতে পারেন, তাহলে দারুণ উপকার মেলে।
দূর করে মানসিক অবসাদ
নানা কারণে মনটা খারাপ হলে ঝটপট এক কাপ জবা ফুলের চা বানিয়ে পান করুন। এতে উপস্থিত উপকারি ভিটামিন এবং মিনারেল স্নায়ুতন্ত্রে তৈরি হওয়া প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি অ্যাংজাইটি কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত জবা ফুলের চা খেলে শরীরে শর্করা এবং স্টার্চের শোষণ কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে শুরু করে। জবা ফুলের চায়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে অ্যামিলেস নামক একটি উপাদানের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
জবা ফুলের চা বানাবেন যেভাবে
জবা ফুলের পাঁপড়ি ছিঁড়ে পানির মধ্যে দারুচিনি বা এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। দশ মিনিট ফোটানোর পর রং বদলালে ছেঁকে নিন। মধু মিশিয়ে খান। গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো।
আর জবা ফুলের পাঁপড়ি সাতদিন রোদে ফেলে শুকিয়ে তা কাঁচের জারে সংরক্ষণ করেও রাখতে পারেন। তারপর চা তৈরির সময় মিলিয়ে নিতে পারেন।