ডোমিনিকা আর আগের মত নেই। উইন্ডসর পার্ককে ঢেলে সাজানো হয়েছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান সুখস্মৃতি ভুলবেন না। ২০০৯ সালে এখনে বাংলাদেশ ২টি ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছিল। সেই আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে কিনা ঠিক নেই। তবে আজ প্রথম ম্যাচটি খেলতে নামবেন টাইগাররা আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
বাংলাদেশের টি টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কাল কথা বলেছেন। সেখানে তিনি আত্মবিশ্বাসের কথা জানান। অবশ্য ফেরিতে ঘটে যাওয়া নিয়ে অল্প কথা হয়েছে। তিনি জানান, সবার পরিস্থিতি মোটামুটি ভাল। খেলতে মরিয়া সবাই। ক্রিকেট নিয়েই মূল কথা হয়েছে। ২০০৯ সালে এই মাঠে বাংলাদেশ ২টি ওয়ানডেতে জিতেছিল। সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ সে দলে ছিলেন। সে বিষয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন,‘ আমি আর সাকিব আসার পথে গল্প করেছি। সেটা অনেক আগের কথা। পিচ অন্যরকম হতে পারে। আর এটা ভাল ফিলিং দেয়। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারে।
ডোমিনিকার উইন্ডসর পার্কে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে এগারটায় শুরু হবে ম্যাচটি। আর টি স্পোর্টস সরাসরি সম্প্রচার করবে।
দুই টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এটাই বাংলাদেশ দলের সেরা সময়। যদিও সব কিছু টাইগার দলের পক্ষে নেই। সংক্ষিপ্ত এই ভার্সনে নিজেদের সর্বশেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। একমাত্র জয়টি এসেছে নিজ মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তার আগে পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। তার আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের পাঁচ ম্যাচের সব ক’টিতেই পরাজিত হয়েছে টাইগাররা।
তারপরও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠেয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের সঠিক কম্বিনেশনের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ এই ভার্সনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের রেকর্ডের কারণে আশাবাদী হতে পারে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওযার পরও টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। অবশ্য তিন ম্যাচের সিরিজটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল যুক্তরাস্ট্রের মাটিতে। তাছাড়া দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে জয়-পরাজয়ের রেকর্ড অনুযায়ী আশাবাদী হতেই পারে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে জয় পেয়েছে পাঁচটিতে, পরাজিত হয়েছে সাতটিতে এবং একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
এ ছাড়া সংক্ষিপ্ত এই ভার্সনে বাংরাদেশ এ পর্যন্ত মোট ১২৫টি ম্যাচ খেলে ৪৪টিতে জয় পেয়েছে। পরাজিত হয়েছে ৭৯টিতে। বাকি দুই ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
কিন্তু ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ভাসনে বাংলাদেশের যেটা সমস্যা তা হলো খেলাটির প্রতি এখনো স্বচ্ছ ধারনা নেই। এই ফর্মেট খেলার যথার্থ উপায় একনো খুঁজে পায়নি। কখনো কখনো তারা আক্রমনাত্মক ব্র্যান্ডের খেলা খেলেছে, যার কারণে কখনো কখনো তারা খারাপভাবে মাঠ ছেড়েছে। আবার কখনো কখনো অত্যন্ত সতর্কভাবে খেলেছে, যেটা টি-টোয়েন্টির সাথে মানানসই নয়।