তারুণ্য, প্রেম ও দ্রোহের প্রতীক রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহের জন্মদিন আজ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ১৬, ২০২২, ০৬:০৭ পিএম

তারুণ্য, প্রেম ও দ্রোহের প্রতীক রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহের জন্মদিন আজ

রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ- এক ক্ষণজন্মা আগুন, যার উত্তাপে বাংলার তরুণ সমাজের রক্ত হয়ে ওঠে গরম। এই আগুনের আলোয় বাংলাদেশের আধুনিক কবিতার জগত আলোকিত। তারুণ্য, প্রেম ও দ্রোহের প্রতীক হিসেবে আজও তরুণ সমাজের হৃদয়ে জায়গা নিয়ে আছেন রুদ্র। 

দ্রোহ-শোষণ ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই, সত্তর দশকের সামাজিক প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে কবির লেখনীতে। এর পাশাপাশি কবিতার ভাষায় প্রেমকেও মায়ায় জড়িয়ে ধারণ করেছেন প্রিয় রুদ্র। 

দেশ ও বৈশ্বিক চিন্তা, রাজনীতি, প্রেম ও দ্রোহকে একসঙ্গে অন্তরে ধারণ করা রুদ্রকে তারুণ্যের, দ্রোহের কিংবা প্রেমের- কোন ধারার কবি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিবেন তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন তার অনুরাগীরা।

কেবল কবিতাই নয়, গান দিয়েও সবার অন্তর জুড়ে আছেন রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ভালো আছি ভালো থেকো গানটির জন্য ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি থেকে তাঁকে শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা দেয়া হয়। তাঁর গান সম্পর্কে আধুনিক বাংলা গানের গীতিকার কবীর সুমন বলেন, আমি ঈর্ষা করি লালন ফকিরকে, জসীম উদ্দিনকে, হাসন রাজাকে, সেই সাথে ঈর্ষা করি কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে।

দেড় বছর প্রেমের পর ১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে বিয়ে করেন রুদ্র-তসলিমা। ১৯৮৭ সালে ভেঙে যায় সংসারজীবন। রুদ্র হয়ে যান একা। নতুন করে সম্পর্কে জড়াতে চেষ্টা করেও বিফল হন। তারপর অসুস্থতা নিয়ে ১৯৯১ সালের এক দিন রুদ্র চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার উদ্দেশে তসলিমা আকাশের ঠিকানায় কবিতা লিখেন- প্রিয় রুদ্র। এ কবিতা আজও তরুণীদের অশ্রু ঝরায়, রুদ্রকে মনে করে কেউ কেউ রুদ্রের সকাল হতে চায়। কেউ বা আবার রুদ্রর কাছে আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে চায়।

ছাত্রজীবনে লেখা উপদ্রুত উপকূল ও ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম কবিতা দুটি রুদ্রকে খ্যাতি এনে দেয়। পরপর দুই বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন। এরপর ১৯৮০ সালে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ পান তিনি। ৩৫ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া এই কবি লিখে গেছেন ৭টি কাব্যগ্রন্থ, গল্প, কাব্যনাট্য ও অর্ধশতাধিক গান রচনা। 

আধুনিক কবিদের মধ্যে যাকে আজও তরুণ সমাজ ধরে রেখেছে আবেগে, গানে, কবিতায়- তিনি হলেন রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। আজ ১৬ অক্টোবর, রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহের ৬৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫৬ সালের এই দিনে ডা. শেখ ওয়ালিউল্লাহ ও শিরিয়া বেগমের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেন রুদ্র। কবির জন্মদিনে আমরা কবিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। শুভ জন্মদিন প্রিয় রুদ্র।

Link copied!