দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ৫০ জনের তালিকায় দীপিকা, ঋষির পাশে বাংলাদেশের এস এম সামমাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ০৪:৪১ পিএম

দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ৫০ জনের তালিকায় দীপিকা, ঋষির পাশে বাংলাদেশের এস এম সামমাম

বিশ্বব্যাপী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ৫০ ব্যক্তির নামের তালিকায় বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তা, সমাজকর্মী এস এম সামমাম সাকতি ইবনে সাহাদতের নাম স্থান পেয়েছে। ভারতের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘ডিসড্যাস’ এই নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। সমাজকর্ম, তরুণ নেতৃত্ব এবং শিক্ষাখাতে কাজ করার জন্য তাকে এই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে বলে ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।  

দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, সমাজকর্ম, রাজনৈতিক প্রচারণা,ফ্যাশন, বিনোদন এবং সামগ্রিকভাবে কাজের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রভাব তৈরী করা ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রতিবছর ৫০ জনের তালিকা প্রকাশ করে ডিসড্যাস।

২০২২ সালের তালিকায় এবারে ভারতের বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফ্যাশন ডিজাইনার ধ্রুব কাপুর, ২০২২ সালের মিসেস ওয়ার্ড সরগম কৌশল, পাকিস্তানের তরুণ পরিচালক সায়িম সাদিক, জনপ্রিয় শিল্পী আলী শেঠি, নারী ক্রিকেটার বিশমাহ মারুফসহ ৫০ জনের তালিকায় ১১ নম্বরে স্থান পেয়েছে এস এম সামমাম সাকতির নাম। তালিকায় দীপিকার স্থান ১৬তম ও ঋষি সুনাক শীর্ষস্থানে।

সাকতির পাশাপাশি বাংলাদেশের আরও তিনজনের নাম তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তারা হলেন-ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিসিএডি)এর পরিচালক  অধ্যাপক সালিমুল হক(৪র্থ স্থান) বেসরকারি সংস্থা ‘টিম বার্থো’র প্রতিষ্ঠাতা মুরশিদুল আলম ভূঁইয়া (৯ম) এবং সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু (৩৭তম)।

এস এম সামমাম সাকতি ইবনে সাহাদত দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আন্তর্জাতিক  শিশু শান্তি পুরষ্কার প্রকাশনা সংস্থা কিডস ইন্টারন্যাশলের সার্বিক সহায়তায় আমাদের ‘এডুকেশন ফর অল’ প্রোজেক্ট বাস্তবায়িত হচ্ছে। হত দরিদ্র ও শিক্ষাবঞ্চিতদের সহায়তায় বাংলাদেশসহ সিয়েরালিয়ন, ভারত, পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে, জাপান, নাইজেরিয়াসহ ১২টি দেশে আমাদের কার্যক্রম চলছে। এসব দেশে কান্ট্রি ডিরেক্টর সার্বিক কাজ তদারকি করে থাকেন।”

ভারতের পাঞ্জাবে লাভলি প্রোফেশনাল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত এই তরুণ সমাজকর্মী আরও বলেন, “ আমাদের টার্গেট আসছে ২০৩০ সালের মধ্যে অভাবী দরিদ্র শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিকরণ, তাদের শিক্ষাদান ও শতভাগ সাক্ষরতার হার নিশ্চিত করা। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায়ও আমাদের ‘এডুকেশন ফর অল’ প্রোজেক্ট চলছে।”  

Link copied!