দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১, ০৯:৩০ পিএম

দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর বিবেচনায় পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও সংক্রমন নিয়ে অবহেলার কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক সচেতনতার বিকল্প নেই। তারা করোনাকে একেবারে নির্মূল করতে চলমান টিকাদান কর্মসূচিতে সবার স্বতঃফুর্ত অংশগ্রহণেরও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এ বছর ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫, ৩৮,০৬২ জন।  সুস্থ হয়েছেন ৪,৮৩,৩৭২ জন। মারা গেছেন ৮,২০৫ জন।

করোনা রোগি শনাক্তের সংখ্যাও কমে এসেছে উল্লেখযোগ্য হারে। গত চব্বিশ ঘন্টায় ১২,৪০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯২ জন। সুস্থ্য হয়েছেন ৫৩১ জন ও মারা গেছেন ১৫ জন।

গত বছরের জুন-জুলাই মাসে দেশব্যাপি করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও সংক্রমনের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। শনাক্তের হিসেবে ওই সময় প্রতি সপ্তাহে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার রোগী শনাক্ত হলেও এর পর থেকে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক ডীন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আনুপাতিক হারে কমলেও করোনা কমে গেছে, এমনটা ভাবার কোন সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে অনেকে নিয়ম-কানুন মানছে না। এখনও করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, অনেকে ভাইরাসটির ব্যাপারে উদাসীন। হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষার সকল সুযোগ-সুবিধা থাকলেও মানুষের মধ্যে করোনা পরীক্ষার আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক কম।

এসব কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করেন ডা. আব্দুল্লাহ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার মতে, কোনো দেশে সংক্রমণের সর্বশেষ চূড়ান্ত পর্যায় (পিক) থেকে টানা তিন সপ্তাহে যদি রোগী ও সন্দেহভাজন (উপসর্গ রয়েছে) অন্তত ৫০ শতাংশ কমে যায়; অন্তত ৮০ শতাংশ সংক্রমণ যদি নির্দিষ্ট ক্লাস্টারে (একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কাছাকাছি থাকা অনেকের মধ্যে সংক্রমণ) হয়; অন্তত দুই সপ্তাহ যদি পরীক্ষা করা নমুনার ৫ শতাংশের কম পজিটিভ শনাক্ত হয় এবং তিন সপ্তাহ ধরে যদি মৃত্যু ও সন্দেহভাজন মৃত্যু কমতে থাকে, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে ধরা যাবে। সে হিসাবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

৪০+ বয়সীদেরও দেওয়া হবে টিকা

৪০ বছর বয়স হলেই করোনার টিকার জন্য নিববন্ধন করা যাবে। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দিয়েছেন। এর আগে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। সোমবার থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনা কার্যকর হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

Link copied!