উবার চালকদের জন্য ওপিবাসের বৈদ্যুতিক মোটরবাইক

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৩, ২০২২, ০৪:৫০ এএম

উবার চালকদের জন্য ওপিবাসের বৈদ্যুতিক মোটরবাইক

উবার চালকদের জন্য দারুণ সুখবর নিয়ে এসেছে সুইডিস-কেনিয়ান বিদ্যুৎচালিত মোটর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপিবাস। নাইরোবি কেন্দ্রীক এই কোম্পানী অফরোড বা উচুপাহাড়ি এলাকার দূর্গম পথে চলতে সক্ষম গাড়ি ও মোটরবাইককে বিদ্যুৎচালিত যানে রূপান্তরিত করছে যা যাত্রী পরিবহনে এরইমধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

জ্বালানী হিসেবে তেলের খরচ না হওয়ায় আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে এখন পরিচিত নাম ওপিবাস। ভবিষ্যতে বাস এবং নিজস্ব বৈদ্যুতিক মোটরবাইক তৈরির লক্ষ্য রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। 

সাফারি গাড়ি ও মোটরবাইক রূপান্তরের কারখানা

শুরুর গল্পটা আরও দারুণ। মূলত শুরুতে বৈদ্যুতিক মোটরবাইকের এই বিষয়টি ছিলো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রজেক্ট। বিপুল সম্ভাবনা থাকায় পরবর্তিতে এই গবেষণাই পরিণত হয় একটি ‍সম্ভাবনাময় উদ্যোগে। এরইমধ্যে এই উদ্যোগের সঙ্গে উবার, সিলিকন ভ্যালীর মতো  বিশ্বের নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ পায়।

ওপিবাস জানিয়েছে, আফ্রিকার দেশ ঘানা, নাইজেরিয়া, সিয়েরালিওন, দ্য ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কংগো এবং উগান্ডায় ওপিবাসের মোটরসাইকেলের চালকরা তাদের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন। ওপিবাসের মোটরবাইকগুলো একবার চার্জ দিলে ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার গতিতে ২শ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে সক্ষম। ওপিবাসের এই বিদ্যুৎচালিত মোটরসাইকেলের দাম ধরা হয়েছে ১৪শ মার্কিন ডলার।

 

ইলেক্ট্রিক বাইক

ওপিবাসের বৈদ্যুতিক মোটরবাইকগুলো নকশা এবং প্রস্তুত করার জন্য কেনিয়াতে একটি কারখানা খোলা হয়েছে। কেনিয়ার বেশ কয়েকটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপে এই মোটরবাইকগুলো বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। যদিও এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণা থেকেই কেনিয়াকে ওপিবাস তার সম্ভাব্য মার্কেটপ্লেস হিসেবে চূড়ান্ত করে। প্রতিবছর বিশ্বে ১৫ থেকে ২০ কোটি বাইক বিক্রি হয়। ২০২১ সালে কেনিয়াতে প্রায় ১৮ লাখ মোটরসাইক ও স্কুটি বিক্রি হয়েছে। একই বছর দেশটিতে ১২ লাখ যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি হয়। ওপিবাস এই বাজারটাকে ধরতেই কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ২০১৭ সালে পর্যটকদের জন্য ব্যবহৃত সাফারির গাড়িগেুলো রূপান্তরের মাধ্যমে কেনিয়াতে ওপিবাসের কারখানার যাত্রা শুরু হয়।

গাড়ি বিদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তর প্রক্রিয়া 

প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) লভস্ট্রম জানিয়েছেন, শুরুতে সাফারির গাড়ির মালিকদের বোঝানো কিছুটা  সহজ হওয়ার আমাদের কাজের সুবিধা হয়। চার চাক্কার গাড়িগুলো নির্দিষ্ট দূরত্বে চাজিংয়ের ব্যবস্থার করার মাধ্যমে বিদ্যুতের মাধ্যমে চললে কি কি সুবিধা হবে তা বোঝাতে আমরা সক্ষম হয়। এরপর থেকেই আমরা রূপান্তরের কাজ করছি। তবে খরচ একেবারে কম নয়। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার এবং ল্যান্ড রোভার টাইপের গাড়িগুলো রূপান্তর করতে প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন ডলারের মতো খরচ হয়। কাজ শেষ করতে ১০ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। তবে সুদূরপ্রসারী চিন্তা করলে এর উপকারিতা খরচের তুলনায় অনেক বেশি। চাজিং সেন্টারগুলো বাসচালকদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা স্থাপন করছি; কতটুকু দূরত্বে একটি বাসের চার্জ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা পর্যাপ্ত গবেষণা করেছি।     

Link copied!