পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ১৬ বস্তা টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ২, ২০২২, ০৮:১৫ পিএম

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ১৬ বস্তা টাকা!

কিশোরগঞ্জ শহরের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্সে আবারও রেকর্ড পরিমাণ টাকা মিলেছে।শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদটির দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্স খুলেছেন তারা। কিছুক্ষণের মধ্যেই টাকা গণনা কার্যক্রম শুরু হবে। গণনা শেষে বলা যাবে এসব দানবাক্সে কী পরিমাণ টাকা ও মূল্যবানসামগ্রী দানে পাওয়া গেছে।

সবশেষ গত ১২ মার্চ এই মসজিদের ৮টি দানবাক্সে ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। যেখানে তিন কো‌টি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকাসহ সোনা-রুপার গহনা ও বি‌ভিন্ন দে‌শের মুদ্রা পাওয়া যায়।

বস্তাভ‌র্তি বিপুল প‌রিমাণ এ টাকা ভাঁজ করা এবং গণনার কাজে অংশ নেন জেলা প্রশাসন, ব্যাংক এবং মসজিদ মাদ্রাসা-এতিম খানার কয়েকশ’ কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।

কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর পারে অবস্থিত ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে নতুন তিনটিসহ মোট আটটি লোহার দানবাক্স রয়েছে। প্রতি তিন মাস পরপর এসব বাক্স খোলার রেওয়াজ রয়েছে।

জনশ্রুতি আছে, কোনো একসময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে।

মুসলিম ও হিন্দু-নির্বিশেষে সব ধর্মবর্ণের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী। কিন্তু ওই সাধকের প্রয়াণের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে এলাকা এমনকি দেশ-বিদেশের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। এ মসজিদে মানত কিংবা দান-খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সের হিন্দু-মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মানত নিয়ে আসেন এই মসজিদে।

Link copied!