পৃথিবীর নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা থাকতে পারে: গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২, ০২:০৭ এএম

পৃথিবীর নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা থাকতে পারে: গবেষণা

পৃথিবীর মতো একটি গ্রহ যদি জীবিত থাকতে পারে তাহলে এই গ্রহের নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা থাকা অসম্ভব নয়। সম্প্রতি একদল গবেষক তাদের গবেষণা রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংবাদ ও ভিডিও বিষয়ক গণমাধ্যম ‘ফিউচারিজম’-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।  

গ্রহের নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা থাকতে পারে-এই প্রশ্নটিকে কেন্দ্র করে গবেষণা চালিয়ে ওই গবেষক দল তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব অ্যাস্ট্রোবায়োলজিতে ওই রিপোর্ট  প্রকাশিত হয়।

গবেষণা  রিপোর্টে তারা ‘গ্রহের বুদ্ধিমত্তা’র ধারণা উপস্থাপন করেন যা পুরো গ্রহের সম্মিলিত জ্ঞান ও ধারণাকে বর্ণনা করে। একটি মার্ভেল মুভির পর্দা থেকে কিছু অংশ ছিড়ে গেছে বলে ধারণা করা হলেও গবেষক দল মনে করেন, তাদের এই ধারণা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে। শুধু তাই নয়, তাদের ওই ধারণা তাদেরকে বাইরের জগতের জীবন আবিষ্কারে সহায়ক হতে পারে।

গবেষকরা প্রমাণ হিসেবে যুক্তি তুলে ধরেছেন, মাটির ভেতরে থাকা ছত্রাকের নেটওয়ার্কগুলো যোগাযোগের মাধ্যমে জীবনের বড় আকারের নেটওয়ার্কগুলোকে একটি বিশাল অদৃশ্য বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে সহায়তা করতে পারে।এটি সম্পূর্ণ গ্রহের অবস্থানকে গভীরভাবে পরিবর্তন করে।

এই মুহুর্তে পরিবর্তন হওয়া প্রাথমিক প্রজাতিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মানব জাতি যারা জলবায়ু থেকে প্লাস্টিক সমস্যা পর্যন্ত পরিবেশের ভারসাম্যকে চিরস্থায়ী পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের  অধ্যাপক  এবং রিপোর্টের সহ লেখক অ্যাডাম ফ্রাঙ্ক বলেন, “ গ্রহের সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনায় সাম্প্রদায়িকভাবে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা এখনও আমরা অর্জন করতে পারিনি।

গবেষকদের মতে,   ধরণের চিন্তা তা  নিয়ে পরীক্ষা মানুষকে পৃথিবীতে তাদের প্রভাব বুঝতে  সহায়তা করতে পারে। কীভাবে এটি আরও ভাল করা যায় তার নির্দেশিকাও পাওয়া যায়।মজার বিষয় হল, এটি এলিয়েনদের অনুসন্ধানেও সাহায্য করতে পাবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।

ফ্র্যাঙ্ক বলেন, "আমরা বলছি আমাদের একমাত্র প্রযুক্তিগত সভ্যতা- যাকে আমরা কখনও যদি দেখতে পাই, আমাদের যেগুলো দেখার প্রত্যাশা করা উচিত-সেগুলো নিজেদেরকে হত্যা করেনি। এর অর্থ হলো  তারা অবশ্যই একটি সত্যিকারের গ্রহের বুদ্ধিমত্তার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

এটি অনুসন্ধান চালানোর শক্তি উল্লেখ করে অ্যাডাম ফ্রাঙ্ক আরও বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের যেসব জানা প্রয়োজন,  সেগুলো একসঙ্গে জীবন বুদ্ধির বিকাশ ঘটানো  অপর গ্রহে কী  ঘটতে পারে তাও জানিয়ে দিতে পারে।

Link copied!