একের পর এক দুঃসময় হানা দিচ্ছে হলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডের। প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় গেছেন হেরে। এরপর থেকেই হার্ড সত্যিকারের সংকটের মধ্য দিয়েই যাচ্ছেন। মামলায় হেরে গিয়ে প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপকে ১০.৩৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার জন্য আদালতের দেওয়া ‘আদেশ’অভিনেত্রীকে বেশ সংকটে ফেলে দিয়েছে।
'অ্যাকোয়াম্যান' তারকা বর্তমানে স্পেনে একটি সাধারণ জীবনযাপন করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে ঘিরে যে নেতিবাচকতার জোয়ার, সেটিও প্রভাব ফেলছে তাঁর জীবনে। এ কারণে তিনি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টও মুছে ফেলেছেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর ব্যঙ্গ-মিমের শিকার হচ্ছেন এই অভিনেত্রী। এ ছাড়া সাবেক প্রেমিক ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেওয়ায় টুইটারও তাঁর জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। এ কারণেই হয়ত টুইটার থেকে নিজের অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছেন তিনি।
তবে অনেকেই দাবি করছেন, অ্যাম্বার নয়, মাস্ক নিজেই অ্যাম্বারের অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছেন। কারণ এটি একটি কাকতালীয় বিষয় হতে পারে না যে মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পরেই তাঁর সাবেক প্রেমিকার টুইটার অ্যাকাউন্ট অদৃশ্য হয়ে যাবে!
তবে হঠাৎ করেই টুইটার থেকে অভিনেত্রীর সরে যাওয়া নিয়ে অবাক করেছে সবাইকে। ‘দ্যাট আমব্রেলা গাই’ নামের একজন টুইটার ব্যবহারকারী গত রাতে নজরে এনেছেন বিষয়টি। তিনি একটি টুইটের মাধ্যমে জানান, অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছেন। টুইটটি অল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং জনি ডেপের ভক্তরা বিষয়টি দারুণভাবে উদযাপন করেছে। তাঁরা সেই টুইটে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অ্যাম্বারকে তুমুল ব্যঙ্গ করেছে।
অপর এক টুইটার ব্যবহারকারী অ্যাম্বারকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, 'তিনি এখন রাষ্ট্রহীন এবং টুইটারহীন! এরপর কী? অনুমান করা যায়?' আরেকজন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘প্রতিভাহীন অর্থ হচ্ছে ক্যারিয়ারহীন, বন্ধুহীন।’ ব্যঙ্গ করে অপর একজন লিখেছেন, ‘আমার কি অ্যাম্বার হার্ডকে জানা উচিত? তাঁর নাম জানি না আমি!’ এমন শত শত টুইট ও রি-টুইটে অভিনেত্রীকে নিয়ে বিদ্রূপে ব্যস্ত রয়েছেন জনি ডেপের ভক্তরা।
প্রাক্তন ‘টিএমজি’ কর্মচারী এবং অ্যাম্বারের মানহানির মামলার মূল সাক্ষী মরগান ট্রেমেইন ব্যঙ্গ করে টু্ইট করেছেন যে, ‘কেউ হয়তো চায়নি যে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক তাঁর অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করার সুযোগ পাক।’
অভিনেত্রী বর্তমানে তাঁর মেয়ে ওনাঘ পাইজকে নিয়ে ম্যালোর্কার একটি ছোট শহরে বসবাস করছেন। ওই শহরে দুই হাজারেরও কম বাসিন্দা বসবাস করেন। অ্যাম্বার ২.৮ মিলিয়ন ইউরোতে একটি প্রাসাদ ভাড়া নিয়েছেন। তাঁর প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গেছে, অভিনেত্রী সবার সাথেই বেশ মানিয়ে চলছেন এবং সুন্দর আচরণ করছেন। প্রতিবেশী সবাই তাঁর প্রশংসাও করছেন।
সবকিছু ঠিক থাকলে অ্যাম্বারকে পরবর্তী সময়ে ‘অ্যাকোয়াম্যান ২’- তে দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া বেশ কিছু সিনেমার কাজও হাতে এসেছে তাঁর।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
