বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের চেতনা ছয় দফা

শেখ হাসিনা

জুন ৮, ২০২১, ০২:০৯ এএম

বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের চেতনা ছয় দফা

আমরা আজকে এখানে উপস্থিত হয়েছি ৬ দফা দাবি দিবস হিসেবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ছাত্রজীবন থেকেই এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই সংগ্রাম  করেছেন। বাঙালি জাতি একটা উন্নত জীবন পাবে, সুন্দর জীবন পাবে- এটাই তার আকাঙ্খা ছিল। তিনি সেটাই চেয়েছিলেন। তাঁর সবসময় চিন্তা ছিল কিভাবে জাতিকে দুঃখ-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেবেন, ক্ষুধা-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিয়ে একটা উন্নত জীবন দিবেন।

পাকিস্তান নামে যে দেশটি সৃষ্টি হয়েছিল সেখানে তাঁর যথেষ্ট অবদান ছিল। কিন্তু দুর্ভাগের বিষয় যে, পাকিস্তান হওয়ার সাথে সাথে আমাদের রাষ্ট্র ভাষা বাংলার ওপর আঘাত আসে, মাতৃভাষায় কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে। সে আন্দোলনও কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র হিসেবে প্রথম শুরু করে দিয়েছিলেন। সেই থেকেই যাত্রা শুরু। ৫৪’র যে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন ১৯৫৪ সালে সেই ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে যে ২১ দফা নির্বাচন সেখানেও পূর্ব বাংলার মানুষের কি কি চাহিদা এবং কিভাবে উন্নত হবে- সেই ২১ দফা কর্মসূচিতে সন্নিবেশিত ছিল। কিন্তু সে সরকার টিকতে পারেনি বেশি দিন। পাকিস্তানিরা সেখানে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করে দেয়। এরপর ’৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। তখন এ দেশের মানুষ কিছুটা মুক্তির স্বাদ পায় কিন্তু সেটাও বেশি দিন টেকেনি ’৫৮ সালে মার্শাল ’ল জারি হয়।

পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যে চিন্তা চেতনাগুলো তার ভিতরে লালিত ছিল, সেটাই প্রতিফলিত হয়েছিল ৬ দফা প্রণয়নের মাধ্যমে। আর সেটা তার আরও সুযোগ এসে গেল ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। যখন দেখা গেল, এই ভূখণ্ডের মানুষ সম্পূর্ণভাবেই নিরাপত্তাহীন। সেই সময় তিনি এই ৬ দফার দাবিটা উত্থাপন করেন। এই দাবিটা যখন উত্থাপন হয়েছিল, তখন সমস্ত পাকিস্তান বিরোধী দল একটা সম্মেলন ডেকেছিল লাহোরে। সেই সম্মেলনে তিনি এই ৬ দফা দাবিটা উত্থাপন করতে চেষ্টা করেন।

কিন্তু দুর্ভাগের বিষয় যখনি এই ৬ দফা দাবিটা তিনি তুলতে চাইলেন এটা গ্রহণ করা হয়নি এবং শুধু তাই না এটা এজেন্ডাভুক্ত করবার চেষ্টা তিনি করেছিলেন। সেটাও তারা করেনি। এমন কি আমাদের কয়েকজন বঙ্গ-সন্তান এই বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ তারাও কিন্তু এটা মেনে নেয়নি বা এটাকে তারা গ্রহণ করেনি। তখন তিনি লাহোরেই প্রেসে এটা দিয়ে দেন। প্রেস কনফরেন্সও করেন। তারপর ঢাকায় ফিরে আসেন। এটা ফেব্রুয়ারি মাসের কথা। ঢাকায় ফিরে এসে তিনি প্রেস কনফারেন্স করেন। সেই প্রেস কনফারেন্সেই ৬ দফা দাবি তিনি উত্থাপন করেন। ৬ দফা দাবি উত্থাপনের সাথে সাথেই পাকিস্তান শাসকদের কথা ছিল যে, এটা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করার জন্যই এই দাবি তিনি তুলেছেন। কিন্তু সেটা বাস্তব না। তিনি মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। যা-ই হোক এই ৬ দফা দাবিকে জনগণের দাবিতে রূপান্তর করা অর্থাৎ ৬ দফা দাবিকে জাতির পিতা নাম দিয়েছিলেন এই বাংলাদেশের জনগণের বাঁচার  দাবি হিসেবে।

তিনি যখন ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন তিনি আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ছিলেন, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেন। ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং ডাকা হয়। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে সে মিটিং হয়েছিল এবং সেই মিটিং এ ৬ দফা দাবি গ্রহণ করা হয়। এখানে অনেকেই হয়তো কারও কারও দ্বিধা-দ্বন্দ ছিল এবং এবং মার্চ মাসে ১৮ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন ডাকা হয়। এই কাউন্সিল ইডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ তারিখে অধিবেশন বসে। ১৯-এ মার্চ  অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদ’কে সাধারণ সম্পাদক, মিজানুর রহমান চৌধুরী’কে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এর আগে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন মওলানা তর্ক বাগীশ আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১০ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।   ১৯-এ মার্চ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি একটা নীতি নির্ধারণী ভাষণ দেন।

সেখানে বঙ্গবন্ধু বলেন, “৬ দফা প্রশ্নে কোন আপোষ নাই। রাজনীতিতেও কোন সংখিপ্ত পথ নাই। নির্দিষ্ট আদর্শ ও সেই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য নিবেদিত প্রাণ কর্মীদেরকেই আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে।” সেই সাথে সাথে তিনি আবারও বলেন, “এ দেশে আওয়ামী লীগ সব সংগ্রামেরই বাণী প্রথম বহন করেছে। সংগ্রামের পথে তাঁরা নির্যাতন ভোগ করেছে সত্য কিন্তু সংগ্রাম ব্যর্থ হয় নাই। ৬ দফা সংগ্রামও ব্যর্থ হবে না। ত্যাগ-তিতিক্ষা দ্বারা এ সংগ্রামকেও আমরা সার্থক করে তুলবো, ইনশাআল্লাহ। বিজয় আমাদেরই।” এরপর ২০ মার্চ পল্টন ময়দানে জনসভা হয় এবং সে জনসভায় সকলে  ভাষণ দেন এবং ৬ দফাকে গ্রহণ করেন।

তারপর তিনি শুরু করেন সারা বাংলাদেশ ভ্রমণ। তিনি  ৩৫ দিনে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে এমন কোন জেলা নেই যেখানে তিনি না যান। আনাচে-কানাচে সব জায়গায় তিনি সফর করেন এবং একদিকে দলকে সংগঠিত করা এবং ৬ দফা দাবির প্রতি সমর্থন আদায় করা, আর সেই সাথে সাথে ৬ দফার জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা। এই আন্দোলনের জন্য সমগ্র মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে ব্যাপক হারে প্রচারপএ তৈরি করা, বুকলেট তৈরি করা আওয়ামী লীগের পক্ষ  থেকে ৬ দফার সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা কেন ৬ দফায় দেওয়া হলো তার ব্যাখ্যা সম্বলিত প্রচারপত্র ব্যাপকভাবে বিলি করা হয়। এবং জনগণ এই ৬ দফাকে খুব দ্রুত মেনে নেয়। এই ৬ দফার মিটিং করতে গিয়ে তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেই ভাষণে যে কথাগুলো বলেছিলেন, যেমন চট্টগ্রামে ২৫-এ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে তিনি একটি ভাষণ দিয়েছিলেন। সে ভাষণের আমি কিছু উল্লেখ করতে চাই। ভাষণে তিনি বলেছিলেন, “যাওয়ার বেলায় বলে যাই যারা দেশের জন্য মরে গেছে তারা কি স্বাধীনতা ভোগ করেছে? আপনারা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হউন। মৃত্যু আমার হতে পারে ভবিষ্যৎ বংশধর সুখে থাকবে। ত্যাগ ও সাধনা ছাড়া কোনদিন কোন জাতির মুক্তি আসে না। ত্যাগ যদি করেন দাবি আদায় হবে।”

কত আগে থেকেই তিনি প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সেটাই আমি এখানে তুলে ধরতে চাই। ২৬ তারিখে তিনি নোয়াখালী বেগমগঞ্জে সভা করেন। সেখানে তিনি ভাষণ দেন। তাঁর বক্তৃতা আমি কোড করছি “এই বাংলা, সোনার দেশ। কিন্তু এখানে পরগাছা বেশি হয়। জঙ্গল ছাপ না করলে ভালো ফসল হয় না। বাংলা যেমন শস্য-শ্যামলা, তেমনি পরগাছায় ভরে যায়।  যাতে বাংলাদেশে পরগাছা হতে না পারে তার চেষ্টা করুন। বাংলাদেশ মুক্ত হবেই।” ৬ দফা দেবার পর তিনি এই সফরগুলি করেন। এরপর কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন এবং তাঁর এই সফর তিনি অব্যাহত রাখেন, আন্দোলন চলতে থাকে। ঠিক সেই মুহূর্তে আপনারা জানেন যে, নারায়ণগঞ্জে বিশাল জনসভা ছয় দফার ওপর ৮ই মে। সেই জনসভা  থেকে তিনি যখন ফিরে আসেন, তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম, পাবনা, যশোরসহ খুলনা, ময়মনসিংহ, সিলেট যেখানেই বড় বড় জেলায় জনসভা করেছেন বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধ মামলা হয়েছে। বক্তৃতা দেওয়ার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তাকে জেলে নিয়ে গেছে। আবার সেখান থেকে জামিন পেয়ে, মুক্তি পেয়ে আরেক জায়গায় জনসভা করেছেন। এইভাবে চারণের বেশে  সারা দেশ তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন।

ছয় দফা কখন দিয়েছেন, কিভাবে দিয়েছে আপনারা সকলেই সেটা জানেন। আমি সেই জায়গাটায় না যেয়ে আমি কয়েকটা বিষয় তুলে ধরতে চাইলাম এই জন্য যে, তিনি  কিভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি নিজের জীবনকে কিভাবে উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়েই সেই কথাগুলো কিন্তু উঠে এসেছে। যখন তাকে গ্রেফতার করা হলো তখন ৭ই জুন হরতাল ডাকা হলো। কারণ মে মাসে তাঁকে গ্রেফতার করার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুক্তি চেয়ে এবং ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে যে আন্দোলন চলছিল, কারাবন্দী থাকা অবস্থায় তাঁর মক্তির দাবিতে হরতাল ডাকা হয়। এখানে আমি আমার মায়ের কথা বলবো যে, এই হরতাল সফল করার জন্য আমার মা বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের চক্ষু বাচিয়ে আমাদের ছাত্র সমাজের সঙ্গে, সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে একটা হরতাল সফল করার জন্য তিনি বিভিন্ন কাজ করে ছিলেন যা আমি অনেক বার অনেক বক্তৃতায় বলেছি। হরতালে সেখানে আপনারা জানেন যে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে, এতে মনু মিয়া, আবুল হোসেন, শফিক, শামসুল হকসহ ১১ জন মানুষ সেইদিন আত্মহতি দেয়। এ ই রক্তের অক্ষরে ছয় দফার নাম তারা লিখে যায়।

আর যে ছয় দফার ভিত্তিতে ’৭০ এর নির্বাচন হয় সেই নির্বাচন হওয়ার পর যখন আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন পায়- যেটা পাকিস্তানীরা কোনদিনই আসা করেনি। এরপর তিনি অসহযোগ আন্দোলন দেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ- এবারের সখগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। যে ভাষণ আজকে বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পেয়েছে, আন্তর্জাতিক ঐতিহ্যে এটা এখন স্বীকৃত যে এই ভাষণটি সারা বাঙালিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল, অসহযোগ আন্দোলন থেকে সশস্ত্র বিপ্লব, সশস্ত্র বিপ¦বের মধ্যে থেকে বিজয় অর্জন আমরা করেছি।

আজকের এই দিনটা আমাদের জন্য এই জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। আমি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাই, শ্রদ্ধা জানাই জাতীয় চার নেতার প্রতি, শ্রদ্ধা জানাই ৩০ লাখ শহীদের প্রতি, ২ লাখ মা-বোনের প্রতি; যাদের মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ছয় দফা দাবি আদায়ের এই ৭ই জুনে রক্তের অক্ষরে ছয় দফার দাবির কথা লিখে গিয়েছিল বলেই আজকে এই ছয় দফার ভিত্তিতেই নির্বাচন এবং আমাদের যুদ্ধে বিজয় এবং আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। এই ছয় দফার ভিতরেই এক দফা নিহিত ছিল। সেটা অন্তত আমরা পরিবারের সদস্যরা জানতাম। তিনি সব সময় বলতেন ছয় দফা মানেই এক দফা অর্থাৎ স্বাধীনতা। আজকে আমরা সেই স্বাধীন জাতি। তবে বাঙালি জাতিকে তিনি যেভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে যে কর্মসূচি তিনি  হাতে নিয়েছিলেন দুর্ভাগ্য যে তা তিনি করে যেতে পারেননি। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে তাঁকে এবং আমাদের পরিবারের সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি, আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। আওয়ামী লীগ যখন আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করল, আমি দেশে ফিরে এলাম। তখন থেকে আমাদের একটাই চেষ্টা ছিল— জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে রেখে গিয়েছিলেন।

আজকে আল্লাহর রহমতে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। রক্ত কখনও বৃথা যায় না- এটাই প্রমাণিত সত্য। আজ জাতির পিতা আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার আদর্শ আছে। ’৭৫-এর পর আমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ হারিয়ে ফেলেছিলাম কিন্তু সে আদর্শ আজকে আবার ফিরে এসেছে এবং জাতির পিতার সেই শিক্ষা নিয়েই বাংলাদেশ সারা বিশ্বের বুকে আজকে মাথা তুলে দাড়িয়েছে। মর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত লাভ করবে। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।

লেখক: শেখ হাসিনা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

Link copied!