বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প নিয়ে আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২৭, ২০২২, ০৯:২৩ পিএম

বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প নিয়ে আলোচনা সভা

স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ বিজয়ের ৫০ বছর পার করছে। আজও নারীরা যেন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। হিন্দু-মুসলমান, ধনী-দরিদ্র সব শ্রেণির নারী ‘সংখ্যালঘু-দশা’র মধ্যে বন্দি। নারীর এই অসহায় দশা সংখ্যায় নয়, ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানায় বক্তারা।

শুক্রবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে কবি, প্রাবন্ধিক এবং জেন্ডার ও মিডিয়াবিষয়ক গবেষক আফরোজা সোমার প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’ নিয়ে আলোচনা সভা হয়। সভাটি আয়োজন করে প্রকাশনী সংস্থা ‘হাসান’স।

বক্তারা বলেন, পুরুষতন্ত্র যে শুধু নারীকে নয়, পুরুষকেও বন্দি করে রাখে, সমাজে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক চর্চা, নারীর মুক্তি ও নরের মুক্তি একই সুতোয় বাঁধা। এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’ লেখা হয়েছে।

কবি জুয়েল মোস্তাফিজ বলেন, ‘মূলধারার গণমাধ্যমে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও নিপীড়নের খবরের ভাষা লিঙ্গ-সংবেদনশীল নয়, সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা রয়েছে এই গ্রন্থে। তাই দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের ‘বেশ্যা ও বিদুষী’ বইটি পড়া অবশ্যই জরুরি।’

কবি অনিকেত শামীম বলেন, ‘পুরুষতন্ত্রের জীবাণুতে শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও যে আক্রান্ত হতে পারে, সেই বিষয়টিকে বিভিন্ন উদাহরণ ও প্রেক্ষিত টেনে এনে পরিষ্কার করেছে বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প।’

এ বইয়ে মোট চারটি অধ্যায় ও ২৭টি প্রবন্ধ রয়েছে। বইটি ২০২১ সালের একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ করে প্রকাশনী সংস্থা হাসান’স।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন লেখক, গবেষক ও রাজনীতি বিশ্লেষক মহিউদ্দীন আহমদ, লেখক-অনুবাদক ও সাংবাদিক রওশন জে চৌধুরী, সাহিত্যের ছোটো কাগজ ‘লোক’-এর সম্পাদক কবি অনিকেত শামীম, কবি ও কথাসাহিত্যিক মুজতবা আহমেদ মুরশেদ, কবি ও সাংবাদিক জুয়েল মোস্তাফিজ এবং গল্পকার বাকিবিল্লাহ।

Link copied!