ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতে আমানতের সুদ হারে ক্যাপ প্রত্যাহারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ১২:২১ এএম

ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতে আমানতের সুদ হারে ক্যাপ প্রত্যাহারের দাবি

আমানতের সুদের ওপর নির্ধারিত ৭ শতাংশ সুদের হারের বিধান বাতিল চায় দেশের ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বুধবার বিকেলে এফবিসিসিআই’র নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে এ দাবি জানান এই খাত সংশ্লিষ্টরা। 

সভায় বক্তারা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী আমানতের ওপর গ্রাহকদের ৭ শতাংশের বেশি সুদ দিতে পারছে না ব্যাংক বহির্ভুত প্রতিষ্ঠানগুলো। অন্যদিকে ব্যাংকগুলো বাড়তি সুদে আমানত সংগ্রহ করছে। এতে অসম প্রতিযোগিতায় পড়ছে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়াও তারা জানান, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত নীতিতেও ব্যাংকগুলো বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও একই সুবিধার দাবি জানান তারা। ব্যাংক বহির্ভুত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পুন:অর্থায়ন তহবিলের আকার আরো বাড়ানোর আহ্বান করেন কমিটির সদস্যরা। 

বৈঠকে উঠে আসা দাবির সাথে একমত প্রকাশ করে এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, সুদের সর্বোচ্চ হারের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে শিগগিরই আলোচনা করবে এফবিসিসিআই। এ ছাড়াও ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সহায়তায় পার্থক্য থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। 

শিল্পে দীর্ঘমেয়াদী ঋণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে সভাপতি বলেন, এক্ষেত্রে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভূমিকা রাখতে পারে। এসময় এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রান্তিক উদ্যোক্তা ও এসএমই খাতে ঋণ অর্থায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মোঃ জসিম উদ্দিন।

সীমিত নীতি সহায়তার মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবদানের কথা তুলে ধরেন কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ এস এম জাহাঙ্গীর আলম (মানিক)। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংককে সমান নীতি সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানান। 

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান উত্তরা ফিন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কমিটির কো চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, কান্তি কুমার সাহা, অন্যান্য সদস্য, এফবিসিসিআইর পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল ও মহাসচিব মাহফুজুল হক।

 

Link copied!