মঙ্গলে মানুষের কণ্ঠ শোনা যাবে ঘরে বসেই!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, ০১:৪০ এএম

মঙ্গলে মানুষের কণ্ঠ শোনা যাবে ঘরে বসেই!

প্রযুক্তির কল্যাণে হয়ত অদুর ভবিষ্যতেই আমারা মঙ্গল গ্রহে বসতি গড়ে তুলতে পারব। সেই অদুরটা যে কতটা দূরে সেটা হয়ত এখনও আমরা জানি না তবে মঙ্গলে আমাদের গলার আওয়াজ কেমন শোনাবে, সেই সুযোগ করে দিয়েছে নাসা।

নাসা এমনই এক প্রোগ্রাম ডেভেলপ করেছে, যার দ্বারা মঙ্গল গ্রহে আপনার কণ্ঠস্বর কেমন শুনাবে, তা পৃথিবীতে বসেই আপনি জানতে পারবেন। নাসার পারসিভারেন্স রোভার, মঙ্গলে আপনার শব্দের রেপ্লিকেট করবে। স্পেস এজেন্সিটির কাছে থাকা একটি অনলাইন টুল ব্যাবহার করেই মানুষ নিজের বাড়িতে বসে মঙ্গল গ্রহে তাঁদের শব্দের সেই রেপ্লিকা সুন্তে পারবে।

প্রথমেই আপনাকে নাসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সাউন্ড অফ মার্স সেকশন থেকে “ইউ অন মার্স” ট্যাবটি নেভিগেট করতে হবে। সেখানে ক্লিক করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে আপনার ভয়েসটি রেকর্ড করতে পারবেন। কাজটা সঠিক ভাবে করতে পারলেই আপাতত আপনার কাজ সেস। এবার এই অডিও ফাইল চলে যাবে পারসিভারেন্স রোভার এর কাছে, এর পর তার পাঠানো রেপ্লিকা অডিও ফাইলটি ডাউনলোড করুন এবং শুনে দেখুন। কি কেমন শুনাচ্ছে মঙ্গলে আপনার কণ্ঠ । চাইলে আপনার প্রিয় গানটিও গেয়ে ফেলতে পারেন।

নাসা এই নিয়ে বলছে, “আপনি যদি মঙ্গল গ্রহে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে তা হবে খুবই শান্ত, পৃথিবীতে আপনার নিজের যে শব্দ শোনেন, তারই একটু চাপা ভার্সন আপনি শুনতে পারবেন। এবং সেই শব্দ শোনার জন্য আপনাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষাও করতে হবে।”

পাখির গান, বাঁশি এবং বেল  ইত্যাদি শব্দ পৃথিবীতে রেকর্ড করে তা মঙ্গল গ্রহে শোনা যায় কি না, তার পরীক্ষা করে দেখেছেন নাসার গবেষকরা। কিন্তু এগুলির বেশির ভাগ শব্দই শোনা সম্ভব হয় নি।

আসলে আমরা যা শুনি তা আসলে আমাদেরই কানের পর্দার ভাইব্রেশন বা কম্পন মাত্র। পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায়, যখন কোনও পদার্থে কম্পন সৃষ্টি হল, তখন তার মধ্যে থাকা কণাগুলি আন্দোলিত হয়। এই আন্দোলনই একটি মাধ্যমে হতে পারে তা বায়ু, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয় বলেই শব্দ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে।

মঙ্গলে রয়েছে ভিন্ন তাপমাত্রা, ঘনত্ব অর্থাৎ তার বায়ু মণ্ডল পৃথিবীর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই ভিন্নতা শব্দকে তিন ভাবে প্রভাবিত করে।

প্রথমত, মঙ্গলে আমাদের শব্দই আমাদের কানে পৌঁছতে একটু বেশি সময় নিয়ে নেয়। দ্বিতীয়ত, পৃথিবীর তুলনায় এই শব্দের মাত্রাও অনেকটা কম হয় এবং  তৃতীয়ত, কিছু ফ্রিকোয়েন্সিতে সিগন্যাল ক্রমাগত দুর্বল হয়ে যায়।

Link copied!