রমজানে কি খাওয়া উচিত, আর কি উচিত না

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৫, ২০২২, ০১:২৪ এএম

রমজানে কি খাওয়া উচিত, আর কি উচিত না

গরমের কারণে পানিশূন্যতা ছাড়াও ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার থেকে হতে পারে পেট খারাপ। তবে এই জীবনযাত্রার মাঝেও সুস্থ থাকার উপায় আছে। আর সেগুলোই জানিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া।

তিনি বলেন, “বছরের পুরো সময়টাতে পরিপাকতন্ত্র খাবার হজম করতে ব্যস্ত থাকে। রোজার মাসে পরিপাকতন্ত্র আধাবেলা করে বিশ্রাম পায়। ফলে রোজা রাখা শরীরের জন্য উপকারী।”

“অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সাময়িকভাবে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। রোজা রাখার সুবাদে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, প্রদাহের সমস্যা দূর হয়।”

“তবে রোজা রাখার কারণে শারীরিক দুর্বলতা ও পানিশূন্যতা দেখা দেয়। সেই সমস্যার লাগাম টানতে ইফতার ও সেহেরিতে খাবারের তালিকার দিকে নজর রাখতে হবে। সেহেরিতে দই, চিড়া, কলা, সবজি বেশি করে খাওয়া উচিত। এসব খাবার হজম শক্তি বাড়ায়। একেবারে নিরুপায় না হলে এসময় রেস্তোরাঁর খাবার না খাওয়াই উচিত। সেহেরির শেষ মুহুর্তে এক গ্লাস দুধ বেশ উপকারী হবে,” পরামর্শ দিয়েছেন এই পুষ্টিবিদ।

“ইফতারে ভাজাপোড়া খাওয়া কমাতে হবে। ঘরে বানানো হোক কিংবা বাইরে থেকে কিনে আনা, ভাজাপোড়া খাবার সবসময়ই ক্ষতিকর। ফল, সবজি, ছোলা ইত্যাদির ওপর জোর দিন বেশি।”

ইফতারে অনেক মুখরোচক খাবার থাকবে এটাই স্বাভাবিক, তবে নিজেকে সামলাতে হবে। অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। যতটুকু খাবেন ধীরে ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। আর ইফতার থেকে আবার সেহেরি পর্যন্ত অল্প অল্প করে পানি পান করা চালিয়ে যেতে হবে। সারাদিনের পানির চাহিদা এই সময়ে পুরণ করার চেষ্টা করতে হবে। ইফতার আর নামাজের পর অনেকেই সন্ধ্যারাতে না খেয়ে থাকেন, একেবারে সেহেরি করেন। এটা উচিত নয়, সামান্য হলেও খাওয়া উচিত।

মহুয়া বলেন, “রমজান মাসে ঘুমের সমস্যাও হয়। ইফতার, নামাজ, রাতের খাবার শেষ করতে গিয়ে অনেকটা সময় গড়িয়ে যায়। আবার পেট ভরা থাকার কারণে ঘুম চট করে আসতেও চায় না। ফলে ঘুমের অভাব পূর্ণ হয় না। অপরদিকে সকালে যাদের কাজে যেতে হয় না তাদের অনেকেই একেবারে সেহেরি খেয়ে ঘুমান। এই অভ্যাসও স্বাস্থ্যকর নয়। চেষ্টা করতে হবে রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার এবং ঘুম থেকে উঠে সেহেরি করার।”

মহুয়া বলেন, “সরাসরি মিষ্টি- যেমন চিনি, গুড়, মধু ইত্যাদি মেশানো খাবার ছাড়া সব খাবারই ডায়াবেটিকরা খেতে পারেন। সেহরিতে দুধ-ভাত-কলা, দুধ-ভাত-আম, এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস দেখা যায়। তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কখনই তিনটি ‘কার্বোহাইড্রেইট’ ধরনের খাবার একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তাই শুধু দুধ-ভাত অথবা শুধু ভাত-কলা বা আম এভাবে খেতে পারেন।”

 

Link copied!