রাজধানীর যেসব রেস্তোরাঁয় দেখা যাচ্ছে বিশ্বকাপ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০৭:৩২ পিএম

রাজধানীর যেসব রেস্তোরাঁয় দেখা যাচ্ছে বিশ্বকাপ

দুনিয়া এখন মজে আছে ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনায়। আয়োজক দেশ কাতার থেকে এ আমেজ চলছে বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জেও। প্রিয় দলের পতাকা নিয়ে, জার্সি গায়ে উদযাপন হচ্ছে বিশ্বকাপের আসর। বিশেষ করে, এ উন্মাদনায় সমান তালে এগিয়ে আছেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। এই উন্মাদনায় সামিল হয়েছে ঢাকার নামিদামি সব রেস্তোরাঁও। মজার মজার খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি এসব রেস্তোরাঁয় দেখানো হচ্ছে বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ।

বার্গার কিং: এই রেস্তোরাঁর যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। শুরু থেকেই নানাপদের খাবারে ভোজনরসিকদের মন কেড়ে নিয়েছে এই রেস্তোরাঁ। ফুটবল ভক্তরা এখানে অনায়াসেই খেলা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।

এই রেস্তোরাঁর খাবারের মধ্যে বিফ বার্গার জনপ্রিয়। টমেটো, লেটুস, কেচাপ আর মেয়োনিজ দিয়ে বানানো এই বার্গার স্বাদে অনন্য। এছাড়া চিজবার্গার, নাগেটস এবং অন্যান্য খাবারও আপনার নজর কাড়তে বাধ্য।

ঠিকানা: গুলশান টাওয়ার, প্লট ৩১, গুলশান উত্তর সি/এ, ঢাকা ১২১২। এইচ নং: ১০৪, রোড নং ১১, বনানী, ঢাকা ১২১৩। প্লট ৪৩ (নতুন), নিচতলা, রোড নং ২এ, সাতমসজিদ রোড, ঢাকা ১২০৯।

স্প্যারোস: মূলত ইউরোপের নানা পদের খাবার এই রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায়। ২০২১ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে এখানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় টিভি পর্দায় খেলা দেখানোর রীতি আছে। বিশ্বকাপ ফুটবলেও এই রীতি অব্যাহত রয়েছে। এই রেস্তোরাঁয় বারান্দা কিংবা ছাদে যেকোন জায়গা আপনি বেছে নিতে পারেন খেলা দেখার জন্য।

এখানকার গ্রিলড স্যামন, গ্রিলড চিকেন সালাদ, বিফ ওয়েলিংটন, পাফ প্যাস্ট্রি বেশ সুস্বাদু।

ঠিকানা: বাড়ি ৭/২, রোড ৭১, গুলশান- ২, ঢাকা-১২১২। প্রতিদিন সকাল 10 টা থেকে 3 টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

১৩৮ ইস্ট: প্রাকৃতিক আলো বাতাসে পরিপূর্ণ একটি রেস্তোরাঁ। মনোরম পরিবেশে আপনি উপভোগ করতে পারেন মুহুর্তটি।
এই রেস্তোরাঁর মেনুতে রয়েছে ফরাসি সুস্বাদু খাবার এবং স্যুপ। চিকেন স্নিটজেল, টেক্স মিক্স ফ্রাই বেশ লোভনীয়। এখানে একটি বিশেষ বিশ্বকাপ প্ল্যাটারও রয়েছে যা দেখে আপনি পছন্দ অনুযায়ী আইটেম বেছে নিতে পারেন।

ঠিকানা: হাউস ১০, রোড ১৩৮, গুলশান ১, প্রতিদিন ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

নাভিদ’স কমেডি ক্লাব: এই রেস্তোরাঁ কিছুটা আলাদা। এখানে শুধু খাবার নয়, মন ভালো করতে হাসতেও আসে মানুষ। হাসির থেরাপির জন্য রয়েছে সংরক্ষিত জায়গা। আউটডোরে অনায়াসেই বসে খেতে পারেন পছন্দের খাবার। খেলা দেখার জন্যও এই জায়গাটি বেশ লোভনীয় হতে পারে। গুলশান ২ এর এই রেস্তোরাঁয় ১৪০ জন দর্শক একসাথে খেলা দেখতে পারে।

জাপানি খাবারের প্রতি আগ্রহী হলে আপনি খেতে পারেন স্যালমন সুশি। এছাড়া ফুচকা, বার্গারসহ নানারকম সুস্বাদু খাবার তো আছেই।

ঠিকানা: বাড়ি ২, রোড ৯০, গুলশান ২, সকাল ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

গ্লোরিয়া জিন্স: অত্যন্ত জনপ্রিয় এই রেস্তোরাঁয় খেলা দেখার ব্যবস্থাও রয়েছে। এর সাথে ক্ষুধা নিবারণের জন্য অর্ডার করতে পারেন কফি,স্যান্ডউইচ, চিকেন মোমো, আইসড টি ইত্যাদি।



ঠিকানা: হাউস ৩৫, রোড ১১, গুলশান ১, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

হেজ: বনানী ১১ তে দেখা মিলবে এই রেস্তোরাঁর। ভেতরের সাজসজ্জা অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। নিরিবিলি এই রেস্তোরাঁয় খেলা দেখতে পারেন নিশ্চিন্তে।

ক্রিমি মাশরুম পাস্তা, সসি বাফেলো চিকেন উইংস এই রেস্তোরাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার যা অবশ্যই চেখে দেখতে ভুলবেন না।

কোনা ক্যাফে: ম্যাচ চলাকালে এই রেস্তোরাঁয় বিশেষ ধরনের ব্যবস্থা করা হয়। মূলত এশিয়া উপমহাদেশের নানারকম খাবার এখানে পাওয়া যায়।

ঠিকানা:  লেকশোর হোটেল গুলশান, বাড়ি: ৪৬, রোড: ৪১, গুলশান ২, সারাদিন খোলা থাকে।

কোর্টইয়ার্ড বাজার: কোর্টইয়ার্ড বাজার বাংলা খাবারের জন্য জনপ্রিয়। এছাড়া রেস্তোরাঁর পরিবেশও আপনার মন শান্ত করতে বাধ্য।

শর্মা, কাবাব এবং চিকেন মালাই টিক্কা আপনার ক্ষুধা মেটাবে। আর এখানকার তাজা ফলের স্বাদযুক্ত চা খেতে ভুলবেন না কিন্তু।

ঠিকানা: হাউস ২, রোড ১১২, গুলশান ২। খোলা: দুপুর ১২টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

Link copied!