শারীরের সুস্থতার সাথে মানুষিক স্বাস্থ্য জড়িত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৪, ২০২২, ০৮:৩৫ পিএম

শারীরের সুস্থতার সাথে মানুষিক স্বাস্থ্য জড়িত

বর্তমান ব্যস্ত জীবনে নানা সমস্যার সমাধান করতে করতে শরীরে যেমন চাপ পড়ছে, তেমনি বাড়ছে মানসিক অসুস্থতাও। সামাজিক ও পারিবারিক দুশ্চিন্তার নানা বলয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি তেমন গুরুত্ব দেন না, শরণাপন্ন হন না চিকিৎসকের। মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে শারীরিক স্বাস্থ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কোনো কারণে মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হলে অর্থাৎ আপনি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে শরীরেও। 

ব্রিটিশ জার্নাল অব সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত কান্ট্রি পেপার অন মেন্টাল হেলথ বাংলাদেশ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৮.৭ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত।

এসব আক্রান্ত রোগীর মধ্যে নারী ও পুরুষ উভয়ই মানসিক অবসাদে ভুগে থাকেন। তবে পুরুষের তুলনায় দেখা গেছে নারীদের মানসিক অবসাদগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়সভেদে মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিকসহ নানান সমস্যার ধরন ভিন্ন হয়। তাই মানসিক অবসাদের ধরনেও থাকে বৈচিত্র্য। তবে বিভিন্ন ধরনের অবসাদ ঘুচিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে দিনের শুরুটা করতে পারেন ব্যায়াম দিয়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই হালকা কিছু ব্যায়াম আপনার শারীরিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভালো রাখে মানসিক স্বাস্থ্যও।

মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেননা, প্রতিদিনের খাবারের প্রভাব যেমন শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে, তেমনি তা মানসিক স্বাস্থ্যকেও করতে পারে নিয়ন্ত্রিত। গবেষকদের মতে, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অত্যধিক শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই খাবারের পরিবর্তে খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে ক্যালসিয়াম, ফোলেট, জিঙ্ক, ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসম্পন্ন খাবার।

এ ছাড়া প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রাধান্য দিতে পারেন চিয়া সিড, ডিম, দই, ব্রোকলি, বাদাম, ডার্ক চকলেটের মতো খাবারগুলো। খাবারের পাশাপাশি জীবনযাত্রায়ও আনতে হবে কিছু বিশেষ পরিবর্তন। এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় নিশ্চিত করুন দৈনিক ৮ ঘণ্টার ঘুম, দুশ্চিন্তা দূর করতে গান শোনার অভ্যাস গড়ে তুলুন, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন, যা আপনার করতে ভালো লাগে তা করার চেষ্টা করুন, সৃজনশীল কাজের পরিমাণ বাড়ান, দরিদ্রদের সাহায্য করুন। সেই সঙ্গে পরিবারকে সময় দিন আগের থেকে অনেকটাই বেশি।

 

Link copied!