‘শীঘ্রই অনলাইনে ম্যারেজ এন্ড ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন চালু হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ১২, ২০২১, ০১:৫৬ এএম

‘শীঘ্রই অনলাইনে ম্যারেজ এন্ড ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন চালু হবে’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন শীঘ্রই আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ম্যারেজ এন্ড ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইন সিস্টেম ‘বন্ধন.গভ.বিডি’ চালু করা হচ্ছে। তিনি  বলেন, এ অনলাইন প্লাটফর্ম চালু হলে বাল্যবিবাহ সহ অনেক সমস্যাই সমাধান হয়ে যাবে। 

সোমবার (১১ অক্টোবর) মহাখালী ব্যাক সেন্টার মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস-২০২১’ উপলক্ষে ‘ডিজিটাল প্রজম্ম,আমাদের প্রজন্ম:বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম প্রতিরোধে প্রতিরোধে প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমেই নারী সমাজের সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। চিন্তার মনস্তাত্বিক পরিবর্তন ছাড়া কোনো প্রযুক্তি বা প্রকল্প পরিকল্পনা কাজে লাগবে না। 

ব্রাকের জেন্ডার জাস্টিস এন্ড ডাইভারসিটি প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক আসিফ খানের সভাপতিত্বে সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস শাখার এডিশনাল ডিপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মো: তবারক উল্লাহ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ নোভা আহমেদ, আইএলও বাংলাদেশ এর ন্যাশনাল স্পেশালিস্ট এন্ড প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মনিরা সুলতানা, ম্যারেজ রেজিস্ট্রার সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক জেন্ডার জাস্টিসের ডাইভারসিটি প্রোগ্রামের পরিচালক নবনিতা চৌধুরি প্রমূখ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তরিকতা ও ভালোবাসার মাধ্যমে টেকসই প্রযুক্তি কাঠামোর মাধ্যমে দেশে কন্যা শিশুর প্রতি হওয়া বৈষম্য দূর করে সমতা আনা সম্ভব।

প্রযুক্তি ব্যাবহারে নারীপুরুষের সাম্য গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সংলাপের সভাপতি ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রযুক্তি হবে সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার। 

নারীর সমতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার করার শুরুতেই তিনি একজন ছেলের সঙ্গে একজন মেয়েকে ফ্রন্ট ডেস্কে নিয়োগ নিশ্চিত করেছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা কেবল ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকারই নন; আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি তিনি। 

তিনি আরও বলেন, সরকারের মাস্টার প্লানের কারণেই আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে মহামারিতেও ৭০ শতাংশ মানুষ অনলাইনে সংযুক্ত থেকে শিক্ষাকার্যক্রম চলেছে। 

ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি নম্বর প্রচলনের পেছনের গল্প তুলে ধরে পলক বলেন, বিগত চার বছরের ৩৩৩ নম্বরে বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ১৮ হাজার কল এসেছে। 

আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন শুধু জোড়া লাগাতে হবে। ডিজিটাল ভেরিফাইয়েবল আইডি, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম, ইন্টার ডিজিটাল ভেরিফিকেশন সবই প্রস্তুত করা আছে। পরিচয় ডট গভের মাধ্যমে পরিচয় যাচাইয়ের ইন্টারঅপারেবল সিস্টেমও রেডি।

Link copied!