শীত আসলেই অনেকের পায়ের গোড়ালি ফাটতে শুরু করে। শরীরে শুষ্কতা বেড়ে যায় বলে পায়ের গোড়ালি ফাটা বেশি দেখা দেয়। পায়ের গোড়ালি ফাটা নিয়ে যারা চিন্তিত তাদের জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় আজ জানাচ্ছি। যেসব জিনিস ব্যবহারে ও যে পদ্ধতিতে ব্যবহারে পা ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে সেগুলো দেখে নিন-
পেট্রোলিয়াম জেলি এবং লেবুর রস
লেবুর রসে থাকা অ্যাসিড উপাদান ত্বকের নানা সংক্রমণ দূর করে। গরম পানি ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পা ভালো করে মুছে ১ টেবিল চামচ পেট্রোলিয়াম জেলি ও ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে লাগান। রাতে যদি এই মিশ্রণ ব্যবহার করেন তাহলে মোজা পরে ঘুমাবেন। সকালে হালকা গরম পানিতে পা ধুয়ে ফেলুন। পায়ের গোড়ালির ত্বকের মসৃণতা ফেরাতে লেবুর রস ও পেট্রোলিয়াম জেলি-এ দুটি উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
পাকা কলা
দুটি পাকা কলা নিয়ে পেস্ট বানিয়ে গোড়ালির ফাটা অংশে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট রাখার পরে ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু-তিন দিন ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যাবে।
মধু
ত্বকের যত্নে মধুর ব্যবহার বেশ পুরনো। মধুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান পা ফাটা রোধ করতে খুব ভালো কাজ করে। গোড়ালিতে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন-চার দিন ব্যবহারে দারুণ উপকার পাবেন। এছাড়াও আরও পদ্ধতি আছে। এক বালতি হালকা গরম জলে এক কাপ মধু মিশিয়ে নিন। পা কিছুক্ষণ ডু্বিয়ে রেখে পা-ঘষার পাথর দিয়ে শক্ত চামড়া ঘষে পরিষ্কার করে দিন। ক্লিনিংয়ের পর ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।
অ্যালোভেরা জেল
ভিটামিন এ, সি ও ই সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা পায়ের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম জলে পা ধুয়ে, পা-ঘষার পাথর দিয়ে গোড়ালি ঘষে পরিষ্কার করে নিন। তারপর পুড়ু করে পায়ের তলায় অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন। এরপর মোজা পরে শুতে যান। সকালে উঠে হালকা গরম পা ধুয়ে নিন।
বাইরে মোজা পরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন আর বাসায় ফিরেই ভালো করে পা ধুয়ে ফেলবেন। শীত আসলেই যারা পা ফাটার সমস্যায় ভোগেন তারা শীত আসার আগে থেকেই পায়ের যত্নে সচেতন হতে চেষ্টা করবেন। এতে শীতে পা ফাটার সমস্যা সহজেই এড়িয়ে যেতে পারবেন।