বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ। ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘স্টাইলিশ আইকন’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই নায়ক যখন রুপালি পর্দায় রাজত্ব করছেন, ঠিক তখনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
সালমান শাহ’র মৃত্যু নিয়ে তিন দফা তদন্তের পর এ চিত্রনায়কের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা' বলা হলেও তা মানতে রাজি নন তার পরিবার৷ সালমানের মায়ের দাবি এটি ‘হত্যাকাণ্ড'৷ সালমানের ভক্তকূলও তেমনই বিশ্বাস করেন৷ তারাও সালমান শাহর মৃত্যুর ‘আসল রহস্য' উদঘাটনের দাবি জানিয়ে আসছেন ৷
এবার সালমান শাহ’র এই অজানা ‘রহস্যে মোড়ানো’ এই মৃত্যুর রহস্য ভেদ করার দায়িত্ব পেয়েছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। তবে বাস্তবে নয়, ‘বুকের মধ্যে আগুন’ ওয়েব সিরিজে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে ওই দায়িত্ব পালন করবেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই বাংলাদেশ নির্মাণ করছে ওয়েব সিরিজ ‘বুকের মধ্যে আগুন’। এটি পরিচালনা করবেন ‘ন ডরাই’-খ্যাত নির্মাতা তানিম রহমান অংশু।
টেলিভিশন নাটক দিয়ে সালমান শাহ’র অভিনয়জীবন শুরু হলেও নব্বইয়ের দশকে তিনি চলচ্চিত্রে অন্যতম জননন্দিত শিল্পী হয়ে উঠেন। ১৯৯৩ সালে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত মুক্তি পায়। আর এরপরই দেশের সিনেমা-পাগাল মানুষের কাছে অতি পরিচিত নাম হয়ে ওঠে সালমান শাহ।
সালমান শাহ’র মৃত্যুর এই ঘটনাটি এবার উঠে আসছে ‘বুকের মধ্যে আগুন’ ওয়েব সিরিজে। সিনেমাপ্রেমিরা কোনোভাবেই মানতে পারেননি তার মৃত্যু। রহস্যজনকভাবেই হারিয়ে গিয়েছিল এই তারকা। চার বছরে মাত্র ২৭টি সিনেমা করে অক্ষয় হয়ে আছেন বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে। মাত্র ২৪ বছর বয়সে অস্বাভাবিক এক মৃত্যুতে থেমে যায় যার পথচলা; তবে সেটা কি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা, সেই জট খোলেনি ২৭ বছরেও।
বুকের মধ্যে আগুন জ্বলে ওয়েব সিরিজের গল্পের অনেকটাই মিল খুজে পাওয়া যাচ্ছে সালমান শাহ'র মৃত্যুর সাথে। তবে এই ব্যাপারে নির্মাতা এখন পর্যন্ত কিছু পরিস্কার করে জানান নি।
‘বুকের মধ্যে আগুন’ ওয়েব সিরিজে আরও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, গাজী রাকায়েত, তানিয়া আহমেদ, তৌকীর আহমেদ, ইয়াশ রোহান, তমা মির্জা, শাহনাজ সুমি, তানভীর প্রমুখ।
