হাজারটা পদ্মা সেতু করেও জনগণের আস্থা পাবেনা সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ৬, ২০২২, ০১:০৯ এএম

হাজারটা পদ্মা সেতু করেও জনগণের আস্থা পাবেনা সরকার

জনগণের রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, জনগণ যদি গণতন্ত্রকে না পায় তবে হাজারটা পদ্মা সেতু করলেও বর্তমান সরকার জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘দেশের জনগণ আমাদের পাশে থেকে বার বার ভোট দিচ্ছে। আমাদের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে।”

সরকারপ্রধানের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন দিয়ে দেখুক না উনাদের প্রতি কতটুকু আস্থা আছে? হাজারটা পদ্মা সেতু করেও কোনো লাভ হবে না। জনগণের রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, জনগণ যদি গণতন্ত্রকে না পায়, গণতন্ত্র যদি না থাকে, তার অধিকার যদি না থাকে, তার ভোটাধিকার না থাকে সেখানে কিন্তু কোনো লাভ হয় না।’

শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “আর ভোট দিচ্ছে কোথায়? মানুষ ভোট দিতে পারছে কোথায় যে, জনগণের আস্থাটা গ্রহণ করছেন তিনি কীভাবে? তিনি তো কাগজে-কলমে সিল মেরে আগের রাত্রে ভোট দিচ্ছেন, ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের মতো আর কি।”

নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “নির্বাচনের বিষয়ে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এটা নির্ভর করবে নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হবে কি না তার ওপর। যদি নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হয়, তাহলে আমাদের অংশগ্রহণ অবশ্যই দৃশ্যমান হবে।”

বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা আরও বলেন, “আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি, বাংলাদেশে যদি একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করতে হয় এখানে অবশ্যই একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার থাকতে হবে। তা না হলে এখানে কোনোমতেই আপনার যদি একেবারে স্বর্গ থেকে নির্বাচন কমিশনার নিয়ে আসেন তাহলেও সেটাকে সুষ্ঠু করতে পারবেন না- ইমপোসিবল।”

প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে টানা ৮দিনে উত্তরার বাসায় আইসোলেশনে থেকে রবিবার করোনামুক্ত হয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন মির্জা ফখরুল। সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সোমবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!