হাসপাতালের সামনে পড়ে থাকা সেই বৃদ্ধ মারাই গেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১৩, ২০২১, ০৪:০০ এএম

হাসপাতালের সামনে পড়ে থাকা সেই বৃদ্ধ মারাই গেলেন

অব‌শে‌ষে না ফেরার দেশে চলে গে‌লেন টাঙ্গাইলের গোপালপু‌র উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পড়ে থাকা সেই অজ্ঞাত বৃদ্ধ‌ (৭০)। শুক্রবার (১২ মার্চ) বেলা সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে উপ‌জেলার স্বাস্থ্য কম‌প্লে‌ক্সের পুরুষ ওয়া‌র্ডে চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। প‌রে গোপালপুর থানা পু‌লি‌শের কা‌ছে তার মর‌দেহ হস্তান্তর করা হ‌য়ে‌ছে।

গোপালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হো‌সেন জানান, দুপু‌রে তার মর‌দেহ ময়নাতদ‌ন্তের জ‌ন্য টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতালের ম‌র্গে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। তার প‌রিচয় শনা‌ক্তের জন্য ‌পিবিআইয়ের মাধ্যমে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করা হ‌য়েছিল। তারপরও তার প‌রিচয় পাওয়া যায়‌নি। ময়নাতদ‌ন্ত শে‌ষে ওই বৃদ্ধের মর‌দেহ আঞ্জুমান ম‌ফিদু‌লের মাধ্যমে দাফন করা হ‌বে।

প্রসঙ্গত, ৫-৬দিন ধরে হাসপাতালের সামনে ৫-৬ গজ দূরে পরিত্যক্ত একটি সেতুর ওপর পড়ে ছিলেন আনুমানিক সত্তর বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ। পথচারীরা তাকে রুটি-পাউরুটি দিয়ে কোনোমতে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) স্থানীয় এক সাংবাদিক সেই প্রবীণের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব তথ্য-ছবি পোস্ট করলে স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর টনক নড়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীম আল রাজী বৃহস্পতিবার দ্য রিপোর্টকে বলেছিলেন, প্রথমেই আমি বলতে চাই, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে আমি পছন্দ করি। এটা আমি ফেসবুকেই প্রথম দেখেছি। এটা হাসপাতালের সামনে না। এটা একটা অব্যবহৃত রাস্তা। এটা আমাদের মেইন রোড থেকে ৫০-৬০ গজ দূরে হবে। এখানে আমাদের মেইন রোড থেকে তেমন দেখা যায় না। আমি সকালবেলাও যখন এখানে এসেছি, এটা (ওই প্রবীণ) চোখে পড়েনি। সকালে উপজেলার মিটিংয়ে গিয়ে প্রথমেই ফেসবুকে এটা দেখি। আমি যেটা মনে করি, যে ফেসবুকে এটা দিয়েছে তারই দায়িত্ব ছিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো। আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে সেখানে আমাদের লোক পাঠিয়েছি।

সেই সময় গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ মল্লিক একই দিন সন্ধ্যায় দ্য রিপোর্টকে বলেছিলেন, ৫-৭দিন ওই প্রবীণ পড়েছিল, এ বিষয়টি সত্য না। আমি নিজেও স্বাস্থ কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। যখন খবর পেয়েছি, তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

Link copied!