সাড়ে পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ২০ লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধারের মামলায় ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞা ওই রায় দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ গণমাধ্যমকে বলেন, আট আসামিকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। আট আসামি হলেন: মো. মকতুল হোসেন, মো. নূর, হেলাল উদ্দিন, আবদুল খালেক ওরফে বুদইন্যা, মো. জানে আলম, মো. লোকমান, মো. এনায়েতুল্লাহ ও নুরুল মোস্তফা।
এ ছাড়া মোজাহের মিয়া, আবদুল নুর ও আবদুল জলিলকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেয় আদালত।
মামলায় ছয়জনকে খালাস দিয়েছে আদালত। তাঁরা হলেন: আহমদ ছফা, আবুল কাশেম ওরফে একে খান, আমির হোসেন, নূর আলম ওরফে বাবুল ওরফে নুরুল আলম, মো. কফিল ও মো. মানিক। তাঁদের মধ্যে আহমদ ছফা ছাড়া অন্যরা পলাতক। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে নয়জন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয় আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল বঙ্গোপসাগরে এফভি মোহছেন আউলিয়া নামের মাছ ধরার ট্রলার থেকে ২০ লাখ ইয়াবা বড়িসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ ঘটনায় পরদিন নগরের পতেঙ্গা থানায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে পরের বছর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাতে ১৭ জনকে আসামি করা হয়।
২০২০ সালের ১০ মার্চ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়।
-20240322130546.jpg)
-20240320182705.jpg)
