২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়া সম্ভব, দাবি ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জানুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম

২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়া সম্ভব, দাবি ট্রাম্পের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ক্ষমতা পেলে তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চলল। নানা উপায় অবলম্বন, বিভিন্ন দেশের কথা চালাচালির পরও থামছে না এই যুদ্ধ। তবে ক্ষমতা পেলে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় এই যুদ্ধে থামিয়ে দিতে পারবেন বলে দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়ায় এ তথ্য জানান। ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন,  তিনি যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে থাকতেন তাহলে একদিনের মধ্যেই এই যুদ্ধ বন্ধ করে দিতেন। তার দাবি, তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না।

সম্প্রতি ফেসবুক ও টুইটারে নিজের প্রোফাইল ফিরে পাওয়ার পর সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একাধিক টুইট করেছেন। 

এর আগে, বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাইডেনের উদ্দেশে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, একবার যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকে ট্যাংক দিচ্ছে আমেরিকা, এরপর তো দরকার পড়লে পরমাণু অস্ত্রও দেবে। সময় নষ্ট না করে এই বিধ্বংসী যুদ্ধ থামান। খুব সহজেই এই যুদ্ধ বন্ধ করা যেতে পারে।

এর ২৪ ঘন্টা পর শুক্রবার আরেকটি টুইট করেন যুক্তরাষ্ট্রের এই সাবেক প্রেসিডেন্ট। ওই টুইট বার্তায় ট্রাম্প সরাসরি দাবি করেন, “আমি যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতাম, তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেনের বিধ্বংসী যুদ্ধ শুরুই হতো না। এখনও যদি আমাকে প্রেসিডেন্ট পদে বসান হয়, তাহলে মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের সহমতে এই যুদ্ধ বন্ধ করে দেব। যেভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ তা মেনে নেওয়া যায় না।”

প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।

তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

Link copied!