৩৮ সন্তানের বাবা বললেন, আল্লাহ দিচ্ছেন আমি নিচ্ছি!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ৩১, ২০২১, ০৭:০৮ পিএম

৩৮ সন্তানের বাবা বললেন, আল্লাহ দিচ্ছেন আমি নিচ্ছি!

তিনি এখন ৩৮ সন্তানের বাবা। তিনি আরো সন্তান চান! এই ‘তিনি’ হচ্ছেন গুলজার হোসেন। পাকিস্তানের বান্নু শহরের বাসিন্দা । গুলজার বলেন, আল্লাহ্ই ব্যবস্থা করবেন। রিজিকের ব্যবস্থা তার কাছেই রয়েছে।

সারাবিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় শিশু জন্মহার বেশি। আবার এই দক্ষিণ এশিয়ায় শিশু জন্মের হারে শীর্ষে আছে পাকিস্তান। প্রতি নারী গড়ে তিনটি সন্তান জন্ম দেন সে দেশে। বিশ্ব ব্যাংক ও সরকারের প্রাথমিক তথ্য থেকে অনুমান, এই জন্মের হার অপরিবর্তিত রয়েছে এখনও। ২০১৯ সালের হিসাবে দেশটিতে ২১ কোটির ওপরে জনসংখ্যা রয়েছে পাকিস্তানের।

PAK Man-Cover-14bk6mtahjc7dc1hltnpjpo9t7-20170610140217.Medi

গুলজারের বয়স এখন প্রায় ষাটের ওপরে। থাকেন বান্নু শহরের মধ্যবিত্ত একটি এলাকায়। তার তিন স্ত্রী। ৩৭টি বাচ্চার পরেও তৃতীয় স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। ছেলেমেয়েদের সম্পর্কে তিনি বলেন, আল্লাহ গোটা দুনিয়া মানুষের জন্য বানিয়েছেন। কেন আমি বাচ্চা হওয়ার এই প্রক্রিয়া থামাব? ইসলামের পরিবার পরিকল্পনা করতে বারণ। আমরা শক্তিশালী হতে চাই। ২৩টি বাচ্চাকে পাশে বসিয়ে তার রসিক মন্তব্য, ওদের ক্রিকেট খেলার জন্য বন্ধুদের দরকার পড়বে না।

তার ভাই মস্তান খান ওয়াজির খানেরও ২২টি ছেলেমেয়ে। তিনিও তিনটি বিয়ে করেছেন। ওয়াজিরের কথায়, আমার নাতিনাতনির সংখ্যা অনেক। সেটা বলতে পারব না। তার কথায়, আল্লাহ তো বলেছেন তিনিই সব কিছু দেবেন। তাকে বিশ্বাস করি আমি। বেলুচিস্তানের জান মোহাম্মদের ছেলেমেয়ের সংখ্যা ৩৮।

তিনি আবার একশোটি বাচ্চার বাবা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এজন্য তিনি চতুর্থ বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ভাল মেয়ে পাচ্ছেন না। পেলেই বিয়ে করবেন। এবং ‘শতরানকারী’ বাবা হবেন। জান মহম্মদের আরো বলেন, মুসলিমদের জনসংখ্যা বাড়া উচিত।

পাকিস্তানে বহুবিবাহ আইনসিদ্ধ বিষয়। ইসলামের রীতি অনুসারে চারটি বিয়ে করতেই পারেন একজন পুরুষ। যদি তার সক্ষমতা থাকে। তবে তেমন ঘটনা খুব কম। খান পরিবারে বহুবিবাহের প্রচলন নেই।

পাকিস্তানে অর্থনীতি কঠিন অবস্থার মধ্যে জনসংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে দুর্ভোগ বাড়বে। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিচ্ছে কিছু বিশেষজ্ঞ। তবে এসব সবাই মানতে রাজি নন। জনসংখ্যার এমন বিস্ফোরণ নিয়ে জাতিসংঘও সতর্কতার কথা বলছে বারবার। জাতিসংঘ জনসংখ্যা কাউন্সিলের এক কাউন্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, এটি অবশ্যই পাকিস্তানের স্বাস্থ্য ও খাদ্য সঙ্কট সৃষ্টির দায়ী। সবকিছুতেই এর খারাপ প্রভাব পড়বে। 

সূত্র: নিউজ১৮ ডটকম। 

Link copied!