মার্চ ২৯, ২০২৩, ০৬:৫০ পিএম
সাংবাদিকতার সাথে অপসংবাদিতা ও ষড়যন্ত্র যুক্ত থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। স্বাধীনতা দিবসে গত ২৬ মার্চ দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদটি সরিয়ে ফেলানোর ঘটনাকে সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও দাবি করেন তিনি।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “আমরা প্রতিবাদে নেমেছি, প্রতিবাদ করতেই থাকবো এবং ষড়যন্ত্রের বিষ দাঁত আমরা ভেঙ্গে দিব।স্বাধীনতার অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রকাশিত অপসাংবাদিকতার তৎপরতা রুখে দিতে আমরা সচেষ্ট।”
সাংবাদিকতার সঙ্গে নৈতিকতা রক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, “সাংবাদিকতার সঙ্গে অপসংবাদিকতা প্রমাণিত হলে আমরাও ছেড়ে দেব না। আমরা প্রতিবাদে নেমেছি, প্রতিবাদ চলবে এবং ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত আমরা ভেঙে দেব।”
জাহাঙ্গির কবির নানক বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর দেশবাসী যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করছিল। তখন দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের একটি বিশেষ সংবাদ দেশবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়। এই ষড়যন্ত্রমূলক ও গল্পকাহিনীর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে মহিলা আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে, হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে। এই পবিত্র মাহে রমজানেও প্রতিবাদ করতে হচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে।”
এই ঘটনাকে ১৯৭৪ সালে ইত্তেফাকে প্রকাশিত কুড়িগ্রামের চিলমারির বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বাসন্তী'র ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী ফোরামের এই নেতা বলেন, “ষড়যন্ত্রকারীরা ৭৪ সালে দেশের পরিস্থিতি বুঝাতে জাল গায়ে দিয়ে বাসন্তীর ছবি ছাপিয়েছে। সারা বিশ্বকে একটি বার্তা দিয়েছিল এবং আমার স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল। সেই ষড়যন্ত্র এখনো চলমান রয়েছে।”
এসময় তিনি বলেন, “ গত ২৬ মার্চ কি কারণে সবুজকে -জাকিরের নাম দিয়ে সংবাদ ছাপা হল? সেই সংবাদ তারা কেন এবং কি উদ্দেশ্যে ছাপালো?”
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “বাংলাদেশ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও শান্তির ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে এখন ষড়যন্ত্র করে আর কোনো লাভ নেই। দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রগতির এই ধারাকে কোনোভাবেই ব্যাহত করা যাবে না।”
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জনাব শবনম জাহান শিলার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপাঁসহ সংগঠনের মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।