ডুবুরি ইউনিটের সম্প্রসারণ হল ডুবুরি ছাড়াই

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৪, ২০২১, ০৮:১০ পিএম

ডুবুরি ইউনিটের সম্প্রসারণ হল ডুবুরি ছাড়াই

নৌকা ও লঞ্চডুবি থেকে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য ডুবুরির সংকটে থাকা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি ইউনিটকে আরও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও পর্যাপ্ত ডুবুরিই নিয়োগ দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। যারফলে প্রকল্পের আওতায় কেনা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি যথাযথ ব্যবহারের অভাবে নষ্ট হতে শুরু করেছে। 

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও বাস্তবায়ন হয়নি

২০১৮ সালে ৪ নভেম্বর ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ডুবুরি ইউনিট সম্প্রসারণ’ নামে ১৬৫ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। যা চলতি ২০২১ সালের জুন মাস নাগাদ শেষ হবার কথা। দেশের সাতটি ইউনিট ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, খুলনা, বরিশাল ও রংপুরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত ডুবুরিই নিয়োগ দিতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এদিকে বিশেষ বিবেচনায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও একবছর বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।

Fireservice

মেয়াদ শেষে ডুবুরি নিয়োগের পরিকল্পনা।

দ্রুত ২০ জন ডুবুরি নিয়োগের পরিকল্পনা

সারাদেশে বর্তমানে ৪৯ জন ডুবুরি রয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের আওতায় সাতটি ইউনিটে কমপক্ষে ৪২ জন ডুবুরি রাখার কথা থাকলেও বর্তমানে ২২ জন রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যার ফলে মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করে দ্রুত ২০ জন ডুবুরি নিয়োগ দেওয়ার জন্য পদ ঘোষণা করা হবে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

অতিরিক্ত দামে পণ্য ক্রয়

প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে লাইট ডিউটি বোট ক্রয় করার কথা থাকলেও ৮৯ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত কোন সভার আয়োজন করা হয়নি। এদিকে দরপত্র আহ্বান,চুক্তি সম্পাদন ইত্যাদিতে কোন তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। ক্রয় পরিকল্পনাও অনুসরণ করা হয়নি কয়েকটি পণ্য ক্রয়ে।

Project 2

নানা অনিয়ম পাওয়া যায় প্রকল্পে।

বরাদ্দ নয়, সময় বাড়ানোর দাবি

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপ সচিব এবং ডুবুরি প্রকল্পের পরিচালক মো: মোশাররফ হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, করোনার কারনে নিম্ন অগ্রাধিকার থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হয়েছে। এছাড়া ডুবুরি নিয়োগের ক্ষেত্রে পদ সৃষ্টিতে জটিলতা দেখা গেছে। তবে বরাদ্দের পরিমান বৃদ্ধি না করেই প্রকল্পের মেয়ার আরও একবছর বৃদ্ধির আবেদন করা হবে। 

উদ্ধার কাজ হবে দ্রুততায়

জলভাগে ও নৌরুটে দুর্ঘটনা কবলিত ব্যক্তি ও যানের অবস্থান শনাক্ত করা এবং উদ্ধার কাজ পরিচালনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আধুনিক উদ্ধার সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ডুবুরিদের পরিচিত করা এবং আধুনিক উদ্ধার কৌশল প্রয়োগে পারদর্শী করা এবং যেকোনও দুর্ঘটনায় উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।  এ লক্ষ্যে সরকার একটি স্যালভেজ ফায়ার ফাইটিং টাগ, সাতটি পন্টুন ও জেটি, ১৪টি হেভি ডিউটি রেসকিউ বোট, ১৪টি লাইট ডিউটি রেসকিউ বোট, সাতটি রেসকিউ ভেহিক্যাল, ৪২টি ডাইভং অ্যাপারেটারস সেট, সাতটি এয়ার কমপ্রেসার মেশিন, সাতটি লাইট ট্রাক (রেসকিউ বোড পরিবহন), সাতটি পোর্টেবল ডি-কমপ্রেসার চেম্বার, একটি বিল্ড ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডি-কমপ্রেসার চেম্বার এবং বিভিন্ন রেসকিউ সরঞ্জাম সংগ্রহ করবে।

Link copied!