গাড়ি আটকে ভাইয়ের সামনে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম

গাড়ি আটকে ভাইয়ের সামনে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গাড়ি আটকে ভাইয়ের সামনে যুবলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আব্দুর রহীম এতিমখানার সামনে তাকে পিটানো হয়। তারপর শনিবার সকালে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

নিহত আবদুল কাদের মিলন (৩৫) উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইসমাইলের ছেলে তিনি।

নিহতের ছোট ভাই আব্দুর রহীম রাকিব জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মিলন বাড়ি থেকে চলে যান। এরপর তিনি সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করেন। ঈদের দ্বিতীয় দিন তিনি দেশে ফেরেন।

তিনি বলেন, “ভাই শুক্রবার রাতে আমার অটোরিকশায় ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় তার অসুস্থ শ্যালককে দেখতে যান। রাত ৯টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে কোম্পানীগঞ্জের চুয়ানির টেক এলাকায় দু-তিনটি মোটরসাইকেলে লোকজন আমাদের ধাওয়া করে। এ সময় মিলন ভাই তার মামাশ্বশুর যুবদল নেতা মাইন উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। এর মধ্যে মোটরসাইকেল আরোহীরা আমাদের ধরে ফেলে।

“পরে হামলাকারীরা ভাইকে চরপার্বতী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আব্দুর রহীম এতিমখানার সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।”  

আব্দুর রহীম রাকিব বলেন, “যুবদল নেতা মাইন উদ্দিন আমাদের বাঁচাতে এলে হামলাকারীদের তোপের মুখে পড়ে তিনি চলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে আমার ভাইকে হামলাকারীদের থেকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত আবদুল কাদের মিলনের স্ত্রী বিবি জুলেখা বলেন, “আমার স্বামী মৃত্যুর আগে হামলার সঙ্গে জড়িত ২০-২৫ জনের নাম বলে গেছেন। তারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান রিপন বলেন, “এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো লোক জড়িত না। গত ১৫ বছর মিলন এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তার হাতে নিষ্পেষিত লোকেদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের শিকার হয়েছে সে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, “জামায়াত-বিএনপির লোকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করবে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, “পুলিশ মিলনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।

Link copied!