জুন ৬, ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে ও চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ পুনর্বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগানে স্লোগানে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান নেন তারা। এ সময় তাদের অবস্থান জানিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুুলে ধরে বক্তব্য দেন আন্দোলনকারীরা।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছিলাম কিন্তু সরকার কোটা বাতিল করেছিলো। আজকে এসে হাইকোর্ট সেটা পুনর্বহালের রায় দিয়েছে। আমরা এটা মানি না। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যেহেতু ছাত্রদের আন্দোলনের প্রক্ষিতে এটা বাতিল হয়েছে সেহেতু আপনারা যদি কোটা বিষয়ক কোব সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে চান তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সেটা করতে হবে। যেকোনো সিদ্ধান্তের আগে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাবো তারা যেন এটার বিরুদ্ধে আপিল করে। আর যদি না করা হয়, তবে আমরা আইনিভাবে ও রাজপথে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসানাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, “২০১৮ সালে আমরা কার্জনে যে টিয়ার শোল খেয়েছিলাম তার দাগ এখনও শুকায়নি। কিন্তু হাইকোর্ট সেটা আবারও ফিরিয়ে আনছে। যেটা বৈষম্য। যাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কতিপয় লোক যারা রিট করেছে তাদেরকে বলতে চাই, আপনারা কোটাধারী মেধাবী পরিচয় দিতেই বেশি স্বাছন্দ্যবোধ করেন। একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির এই যুগে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে মেধা ভিত্তিক নিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।”
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সিমা আক্তার বলেন, “ যে কোটার মাধ্যমে বৈষম্য লোপ করা হয়, আজকে সেই কোটার মাধ্যমেই আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। ২ শতাংশের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।”