জুলাই ৫, ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
মালয়েশিয়ায় একটি জঙ্গি চক্র ভেঙে দেওয়ার দাবি করেছে দেশটির পুলিশ। চক্রটি মূলত দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে চরমপন্থী মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছিল বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনকে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তবে অভিযানের সাফল্য সত্ত্বেও দেশি-বিদেশি উগ্রপন্থীদের সম্ভাব্য হুমকি এখনো রয়েছে বলে সতর্ক করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। তারা বলেছে, ভবিষ্যতে এমন চক্র প্রতিরোধে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মালয়েশিয়ার বুকিত আমান পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ-১ এর উপপরিচালক দাতুক আহমদ রামদান দাউদ জানান, এপ্রিল মাসে চালানো এক অভিযানের মাধ্যমে এই গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালিত হয়। বর্তমানে পুলিশের নজর নতুন কোনো হুমকি বা সম্ভাব্য উগ্রপন্থী তৎপরতার দিকেই।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশি গ্রুপের বিষয়ে আপাতত তদন্ত শেষের দিকে, তবে অন্যদের বিষয় এখনো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। এ ধরনের চক্রে মালয়েশিয়ার নিজস্ব নাগরিকসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও জড়িত থাকতে পারে।”
রামদান আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চরমপন্থীদের জন্য একটি বড় ধরনের নিয়োগ ও সংগঠনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে, যা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশি উগ্রপন্থীরা যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিতি গড়ে তুলছে এবং সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে, তা প্রতিরোধে আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে।”
তিনি জানান, তদন্ত এখনো চলমান থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয়। “বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এ মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা ঠিক হবে না,” যোগ করেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, দেশব্যাপী নজরদারি অব্যাহত রয়েছে এবং চরমপন্থী মতাদর্শ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে লক্ষ্যে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।