পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে রাশিয়ার সম্পর্ক মোটেই স্বস্তিকর নয়। সম্প্রতি দেশটির সীমান্তে হাজারো রুশ সৈন্য মোতায়েনের কারনে মস্কো-কিয়েভ সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর এ কারণে দেশটিতে সম্ভাব্য রুশ সামরিক হামলার আশঙ্কায় পূর্ব ইউরোপে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
ইউক্রেন সীমান্তে হাজারো রুশ সেনা অবস্থান করছে। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি ও সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রেখেছে জোটটি। ন্যাটোর সদস্য না হওয়ায় দেশটিতে সরাসরি সৈন্য পাঠাতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশটিতে ব্যাপক পরিমাণ সামরিক অস্ত্র পাঠাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।
এদিকে, রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় কিয়েভে নিজেদের দূতাবাসের সব কর্মীর পরিবারকে দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া, এ মুহূর্তে রাশিয়া ভ্রমণ না করতে মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যও কিয়েভে নিজেদের দূতাবাসের কর্মীদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে এশিয়ার দেশ জাপানও। ইউক্রেন থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে টোকিও।
ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কার মধ্যেই মস্কোর তরফে একটি নৌ-মহড়ার ঘোষণাও এসেছে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন সীমান্তের চার হাজার মাইলেরও বেশি এলাকাজুড়ে সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। এর আগে, গত সপ্তাহে যুদ্ধ ট্যাংক, সেনা ও অন্যান্য সামরিক যান বহন করতে সক্ষম ছয়টি রাশিয়ান ল্যান্ডিংশিপ ভূমধ্যসাগরে পাঠানো হয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএ ‘র প্রতিবেদনে বলা হয, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন পূর্ব ইউরোপে পাঠাতে চায়, এমন নির্দিষ্ট সামরিক ইউনিট চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
তবে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি পেন্টাগন। সংস্থাটির মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের শুধু এটা নিশ্চিত করতে চায় যে, যেকোনও প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনে ওয়াশিংটনের প্রস্তুতি রয়েছে।