আমদানি স্বাভাবিক হলেও ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম

তৌফিক হাসান

ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১, ১২:০৫ এএম

আমদানি স্বাভাবিক হলেও ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম

দেশের বাজারের অস্থিরতা কাটাতে ভারত থেকে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ইতোমধ্যে প্রায় ৫৬ হাজার ৩৯১ মেট্রিক টন চাল বেসরকারিভাবে আসলেও এখন পর্যন্ত খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব চোখে পড়েনি। আগের বাড়তি দামেই চাল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এদিকে আমদানিকৃত চাল নিম্নমানের বলে ক্রেতাদের আগ্রহ কম বলে জানান আড়তদাররা। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের চালের আড়তে গিয়ে দেখা যায় বাজারে চালের সরবারহ যথেষ্ট রয়েছে। কিন্তু এক মাসের ব্যবধানে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৬ টাকা। বর্তমান বাজারে চালের দাম স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারাও তা স্বীকার করেছেন।

আমদানিকৃত চাল বাজারে ঢুকছে কিনা জানতে চাইলে আড়তদাররা বলেন, ভারতের চাল অনেকটা নিম্নমানের থাকে। যে কারণে একই দাম দিয়ে ক্রেতারা নিম্নমানের চাল কিনতে চান না। এছাড়া সাধারণ জনমনে ভারতের ‘প্লাস্টিক চাল’ এর গুজব প্রচলিত থাকায় আমদানিকৃত চাল আড়তে খুব বেশি আনা হয় না।

কারওয়ান বাজারের বিসমিল্লাহ রাইস হাউসের কর্ণধার মিজানুর রহমান বলেন, এর আগেও চাল বাজারে ঢুকেছে। কিন্তু চালের গুণগত মান ভালো না থাকার কারণে আমরা ঐ চাল বিক্রয় করতে পারিনি। পাশাপাশি ভারতীয় চালের দাম বাংলাদেশী চালের দামের সমান থাকায় বাজারে তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি।

পাইকারী বাজারে ‘স্বর্ণা’ জাতের চাল জানুয়ারিতে ২ হাজার টাকা বস্তা বিক্রি হলেও এখন তা ২ হাজার ২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ‘বিআর ২৮’ চাল মানভেদে বস্তা প্রতি গত মাসে দাম ছিলো ২ হাজার ১৬০ থেকে ২ হাজার ৪৫০ টাকা। বর্তমানে তা ২ হাজার ২৪০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জানুয়ারিতে ‘মিনিকেট’ চালের বস্তা ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৩ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ‘নাজিরশাহ’ চাল গত মাসে ২ হাজার ৯০০ টাকা বস্তা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম এভাবে বেড়ে ‍যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন ক্রেতারা। কারওয়ান বাজারের চাল কিনতে আসা ব্যাংক কর্মকতা ইকবাল হোসেন বলেন, যে চাল আগে ৬০ টাকায় কিনতাম তা এখন ৬৫ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। চালের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে পুরো বাজার ব্যবস্থাই ধসে পড়বে। সরকারের উচিৎ দ্রুত এ দিকে নজর দেয়া। 

Link copied!