ছবি: সংগৃহীত
মুন্সিগঞ্জে লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতিতে থেমে থাকা লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় নেহাল আহমেদ ওরফে জিহাদের (২৪) ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার, ১২ মে মুন্সিগঞ্জ আমলি আদালত-১ এ আসামি জিহাদকে হাজির করলে দুপুর ১টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান আহমেদের উপস্থিতিতে রিমান্ডের আবেদন শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামি জিহাদ মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার যোগনীঘাট এলাকার মো. মনিরুজ্জামানের ছেলে। এর আগে গেল রোববার জিহাদ ওরফে জিহাদ হাসানের বিরুদ্ধে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে আনা হলে ওই আদালতের বিচারক আজ সোমবার রিমান্ডের আবেদন শুনানির তারিখ ধার্য করাসহ আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গেল শুক্রবার মুন্সিগঞ্জে যাত্রাবিরতিতে থেমে থাকা লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধর, যৌন নিপীড়নের অপরাধে মুক্তারপুর নৌপুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মিলন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মুন্সিগঞ্জ থানায় জিহাদসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় গত শনিবার দুপুরে আসামি জিহাদ মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। ওই দিন পুলিশ তাকে আটক দেখায়।
মামলার বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, ‘শুক্রবার ১৯-২০ বছর বয়সী দুই তরুণীকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সে ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার আমরা জিহাদকে থানায় আসতে বলি। সে থানায় এলে তাকে আটক করি। এ ঘটনার মামলা করার জন্য ওই তরুণীদের ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষকেও অভিযোগ দিতে বলা হলে তারা থানায় আসেনি। সব শেষ রোববার সকালে মুক্তারপুর নৌপুলিশ বাদী হয়ে মারধর, লঞ্চ ভাঙচুর এবং লঞ্চে লুটপাটের ঘটনায় মামলা করেছেন। মামলায় একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জন আসামি রয়েছে। মামলাটি নৌপুলিশ তদন্ত করবে।’
জিহাদকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। লঞ্চের মারধরের ঘটনায় আটক জিহাদ অনুতপ্ত হয়ে বলেছেন, তার ভুল সে বুঝতে পরেছে, আইনের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল। তাই নিজেই থানায় গিয়েছিলেন। জিহাদ আরও বলেছেন, তরুণীদের উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচাতে বড় ভাই হিসেবে শাসন করেছিলেন।
আদালতের কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ জিহাদ নামের এক আসামিকে গতকাল রোববার আদালতে আনা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে উঠালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত আসামির বিরুদ্ধে ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।