রাজস্ব আহরণে আরও অগ্রগতি প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২৭, ২০২৩, ১০:১০ পিএম

রাজস্ব আহরণে আরও অগ্রগতি প্রয়োজন

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ মোটেও স্বস্তির নয়। এসময় খাতটিতে ৩ দশমিক ১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগামী বাজেট প্রণয়নে সরকারকে সামষ্টিক অর্থনীতি এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। সোমবার (২৭ মার্চ) সিপিডি আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট সুপারিশ প্রকাশ করছে। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব আহরণে ৩ দশমিক ১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সুতরাং আগামী ছয় মাসে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি পজিটিভে আনা এবং লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য একটি ব্যাপক প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এছাড়া মূল্য সংযোজন কর কিছুটা বাড়লেও সেখানে নিম্নধারার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একইসঙ্গে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ব্যয় অনেক কমেছে। এই পর্যন্ত যে অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিলো তা হয়নি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে বাজেট ঘোষণার কয়েকমাস আগে সিপিডি সুপারিশমালা প্রকাশ করে। তখন শুধুমাত্র রাজস্ব, ব্যয় এবং আয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপের উপর মনযোগ দেই না। আমরা সামষ্টিক অর্থনীতির এবং আর্থিক কাঠামোর চিত্র তুলে ধরি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট এমন একসময় প্রণীত হতে যাচ্ছে যখন আমাদের অর্থনীতি ও বিশ্ব অর্থনীতি ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে। তাই আমরা নাম দিয়েছি ‘ঝড়কে মোকাবেলা করা এবং ঝুঁকিকে সামাল দেওয়া’। এই আলোকেই আমাদের বাজেট সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়েছে। এতে রাজস্ব কাঠামো, দ্রব্যমূল্য, ভর্তুকি এবং মূল্যসস্ফীতি সহ ৬টি বিষয় তুলে এনেছি।

তিনি আরও বলেন, আগামী অর্থবছরের যে বাজেট প্রণীত হতে যাচ্ছে সেটি বর্তমান সরকারের সর্বশেষ বাজেট। এই বাজেট এমন একসময় প্রণীত হতে যাচ্ছে যখন আমরা দেখছি অভ্যান্তরীণ ও বৈশ্বিক পর্যায়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশের উন্নয়নের অনেকগুলো সূচক দুর্বল হয়ে পড়ছে।

এমন পরিস্থিতিতে সিপিডি তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের উচিৎ সামষ্টিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং এটাকে পুনরুদ্ধার করা। অতীতে আমাদের যে অর্জন হয়েছে সেটাকে সংহত করা এবং নতুন বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার কোনটিকে ছাড় দিয়ে কোনটিকে গুরুত্ব দিবো তা বিবেচনা করা। কারণ একসঙ্গে আমরা দুটো অর্জন করতে পারবো না। আগামী অর্থবছরের জন্য স্থিতিশীলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একইসঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষিতগুলো বিবেচনা করে আগামী বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।

Link copied!