শেষ মুহুর্তেও চালু হয়নি সুরক্ষা অ্যাপ!

মেহেদী হাসান

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১, ০১:১৪ এএম

শেষ মুহুর্তেও চালু হয়নি সুরক্ষা অ্যাপ!

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সারাদেশে পৌঁছে দিতে সবাইকে অনলাইনে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। এ জন্য তৈরির কথা ছিল সুরক্ষা অ্যাপ নামের একটি অনলাইন নিবন্ধন অ্যাপের। শুক্রবার নিবন্ধনের শেষ দিনেও সেই সুরক্ষা মোবাইল অ্যাপসটি পুরোপুরি চালু করা যায়নি। ফলে ওয়েবসাইট থেকে নিবন্ধনও করতে পারছেন না কেউ।

প্রথম ধাপের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সংবাদকর্মীরাও ছিলেন ওই অগ্রাধিকার তালিকায়। সেই গণমাধ্যমকর্মীরাও করতে পারেননি নিবন্ধন।

ওয়েবসাইটের ত্রুটিজনিত কারণে নিবন্ধন করতে না পেরে টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের মধ্যে অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রায় ষোলটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন পেশার মানুষদের রাখা হয়েছে প্রথম ধাপের টিকা প্রদান কর্মসুচিতে। এরমধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরাও। সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে করোনার ভ্যাকসিন সবার আগে পাবেন বললেও নিবন্ধনেই বাদ পড়ে যাচ্ছেন সেই গণমাধ্যমকর্মীরা।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করা হলেও সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারেনি। সরকারি অন্যান্য সাইটের চেয়ে সুরক্ষা ওয়েবসাইটের ব্যবহার বেশি হওয়ায় নাকি কিছু সমস্যা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মান্নান দ্যা রিপোর্ট কে বলেন, অনলাইনের সমস্যাজনিত কারণে যারা নিবন্ধন করতে পারছেন না, তারা ৭ তারিখের পরও নিবন্ধন করতে পারবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, অ্যাপ কেন চালু হচ্ছে না তা এখনও বলা যাচ্ছে না, এ ব্যাপারে আইসিটি ডিভিশন কাজ করছে।’ 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিবন্ধন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন বুথ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে এসব বুথে অনালাইনের পাশাপাশি লিখিত ফর্ম পূরণ করে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে টিকা নিতে আগ্রহীদের জাতীয় পরিচয়পত্রেরও ছবি দরকার হবে।

অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সুরক্ষা অ্যাপে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছেন বলে দাবি করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অ্যাপস চালু না হওয়া এবং অনালাইনে প্রতিনিয়ত ত্রুটি থাকার পরেও কীভাবে এত মানুষ নিবন্ধন করলো— এমন প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচির প্রথম মাসে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও টিকা নিবন্ধনের নানান জটিলতা ও  টিকা সংকটের কথা বিবেচনায় রেখে ৩৫ লাখ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে যে সাংবাদিকরা আগে টিকা পাবেন বলে জানানো হয়েছিল, সেই সাংবাদিকদের প্রায় কেউই নিবন্ধন করতে পারেননি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদ সদস্য জুবায়ের রহমান চোধুরী বলেন, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ত্রুটির কারণে আমি নাম দিতে পারিনি। এখন সহকর্মীদের নাম কাগজে-কলমে লিখে তালিকা তৈরি করছি।

 

Link copied!