চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতালের আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের পিটুনিতে মারা গেছেন এক যুবক। চোর সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দিয়ে মারা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বেলা ১টার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের ঢাকা শিশু হাসপাতালে।
যুবকের নাম মো. মামুন। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে থানা-পুলিশ। তিনি মিরপুর এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন চা বিক্রেতা।
আরও পড়তে পারেন:শিশু হাসপাতালে চোর সন্দেহে হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের
শেরে বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এএসএম আল মামুন জানান, মামুন মিরপুর পল্লবী এলাকায় বসবাস করতেন। তাঁর বাবার নাম মৃত ফজলুল হক। রবিবার সকালে তিনি একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে মা ও স্ত্রীর সাথে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। এরপর শেরেবাংলা নগর থানার শিশু হাসপাতালের সামনে ঘোরাফেরা করার সময় তাঁকে চোর সন্দেহে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান, কয়েকজন ব্যক্তি সাড়ে ১২টার দিকে শিশু হাসপাতালের গেটের বাইরে থেকে যুবক মামুনকে ধরে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা মিলে তাঁকে মারধর করে। মারধর করার কিছু সময় পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। মারধরের সময় শিশু হাসপাতালের আনসার সদস্য মোস্তাকিম ও কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্সচালক ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন শেরে বাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পরে তিনি বলেন, এখন কিছু বলা যাবে না। আমরা কাজ করছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
মারধরের কারণ জানতে চাইলে ওসি বলেন, মারধরের কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। শুনেছি জনতা গণধোলাই দিয়েছে।
আনসার সদস্যরা ও অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা মারধর করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কিছু পেলে আপনাদের জানাব। সিসিটিভি ফুটেজ দেখার বিষয়ে তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছি। কিন্তু এখন তদন্তের স্বার্থে আপনাদের দেওয়া যাবে না।
