প্রচণ্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ চিড়িয়াখানার প্রাণীরাও। টানা কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমে প্রাণীদের স্বস্তি দিতে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে জাতীয় চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষকে। পানিশূন্যতায় ভুগতে থাকা প্রাণীদের দেওয়া হচ্ছে তরল খাবার। বদলে দেওয়া হয়েছে খাবারের তালিকাও।
দর্শনার্থী না থাকায় ফুরফুরে মেজাজে পশু পাখি
মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ২ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে মিরপুরের চিড়িয়াখানা। কর্তৃপক্ষ বলছে, দর্শনার্থী না থাকায় সেখানকার বাসিন্দারা ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও তাদের আরামে বাগড়া দিচ্ছে গরমের তীব্রতা। দিনভর চড়তে থাকা গরম থেকে বাঁচতে গাছের ছায়ায় সময় কাটাচ্ছে প্রাণীরা, বাঘ-জলহস্তী-কুমির স্বস্তি নিচ্ছে পানিতে গা ডুবিয়ে।
গরমে সারাদিন পানিতেই থাকছে জলহস্তি।
স্যালাইন ও শীতল পানি দেয়া হচ্ছে
চিড়িয়াখানার পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেছেন, অতিরিক্ত গরমে মাংসাশী ও নানা প্রজাতির পাখির বেশি সমস্যা হয়। এজন্য সবসময় দেখভাল করা হচ্ছে এদের। অতিরিক্ত গরমের সময় চিড়িয়াখানার প্রাণীদের পর্যাপ্ত শীতল পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া স্যালাইন এবং মৌসুমী কিছু ফলও দেয়া হয়। নিয়মিতভাবে চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের মাধ্যমে। নিয়মিত পানির সঙ্গে খাবার স্যালাইনও দেওয়া হচ্ছে।
মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের বন্ধ থাকায় সুনসান পরিবেশে বেশ ভালোই কাটছে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানার ইমু পাখির ছানাগুলোর। এই সুযোগে প্রাণীদের নানা ধরণের কসরত শেখাচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। দর্শনার্থীদের বাড়তি বিনোদনের খোরাক দিতেই তাদের অভ্যস্ত করা হচ্ছে বলে জানান পরিচালক লতিফ।
মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের বন্ধ মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় হাতিকে ফুটবল খেলা শেখানো হচ্ছে। এটা পরবর্তীকালে দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আনন্দ জোগাবে।