আবারও কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে মিলেছে রেকর্ড পরিমাণ টাকা! এবার মিলেছে অনেক বস্তাভর্তি টাকা। শনিবার (৬ মে) সকালে আট দানবাক্স থেকে মোট ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। মিলেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও। এখন চলছে গণনার কাজ। প্রতি তিন মাস পর পর দানবাক্স খোলার রীতি থাকলেও এবার রোজার কারণে চারমাস পর দানবাক্সগুলো খোলা হলো।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা টাকা গণনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান দানবাক্স খোলার পর টাকাগুলো ১৯টি বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। দান দানবাক্সগুলো খুলে ১৯টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।
টাকা গণনার কাজটি প্রত্যক্ষ করছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, সিনিয়র সহাকরী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলঅম। মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরাসহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে ৭ জানুয়ারি সবশেষ ওই মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় তখন রেকর্ড ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।
এদিকে,পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্র জানিয়েছে,ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’ নির্মাণ করা হবে। আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন এই ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। এটি নির্মিত হলে সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মসজিদটি বানানো হয়েছে। কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। সে জন্য দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে এসে দান করে থাকেন।