বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন নেতা ও মুক্তির প্রতীক: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৭, ২০২১, ০৭:৪৬ পিএম

বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন নেতা ও মুক্তির প্রতীক: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু আপসহীন নেতা ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্ববাসীর জন্যও আদর্শ’।

বুধবার (১৭ মার্চ) বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেসময় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমন্ত্রণ পেয়ে আমি সম্মানিত। বঙ্গবন্ধু এমন একজন মহান নেতা যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে যাবেন।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন। তার সম্মোহনী নেতৃত্বের কথা কেউ ভুলে যাবে না। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেওয়া তার বক্তব্য বিশ্বের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশে উন্নয়নের সড়কে অনেক এগিয়ে গেছে। যা এ দেশের নাগরিকদের কঠোর পরিশ্রমের ফসল।’

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট করোনাকালে বাংলাদেশের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আমরা একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। খাদ্য, পিপিই, মেডিকেল সামগ্রী দেয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সম্প্রতি মালদ্বীপে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে। এটা দু’দেশের শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নিদর্শন।’

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ সম্পর্ক বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সলিহ বলেন, ‘দু’দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।’ অর্থনৈতিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ একযোগে কাজ করে যাওয়ার কথাও বলেন মোহামেদ সলিহ।

মালদ্বীপ সফর করার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণও জানান ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।

এছাড়া উদ্বোধনী দিনের এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার প্রমুখ।

১০ দিনের এ অনুষ্ঠানমালা আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪ টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন পাঁচ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান।

Link copied!