দেশীয় ব্র্যান্ড কেরু অ্যান্ড কোংয়ের মদের চাহিদা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে মদ থেকে ১৯৫ কোটি টাকা আয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ অবস্থায় মদের উৎপাদন বাড়াচ্ছে কেরু।
গত কয়েক বছর ধরে মদ বিক্রি বাড়ায় প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো লাভের মুখ দেখছে কেরু অ্যান্ড কোং। ভবিষ্যতে আরও লাভের আশা করছে তারা।
কেরু কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরে কোম্পানিটির উৎপাদিত মদের বিক্রি ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। মদের বিক্রি বাড়ায় সরকার কোম্পানিটি সম্প্রসারণের কথা ভাবছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গতকাল ঘোষণা দিয়েছেন, কেরু অ্যান্ড কোংয়ের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে দর্শনার বর্তমান স্থানে দ্বিতীয় একটি ইউনিট হবে। কারণ মদের পাশাপাশি ভিনেগার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জৈব দ্রাবকের মতো অন্যান্য পণ্যেরও চাহিদা রয়েছে।
দর্শনা চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে শিল্পমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
একই অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, “দেশের কোনও চিনিকল স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি। চিনিকল আধুনিকায়নের জন্য সাময়িকভাবে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পুনরায় সব কারখানা চালু করা হবে। দেশের কোনও চিনিকল বন্ধ হবে না।”
কেরু অ্যান্ড কোংয়ের কারখানা সূত্র জানায়, কেরু অ্যান্ড কোং প্রতি মাসে ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার কেস মদ উৎপাদন করতো। চলতি মাসে প্রতিষ্ঠানটি ২০ হাজার কেসের বেশি মদ উৎপাদন করেছে। দেশের দুই পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় দুটি নতুন বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করছে প্রতিষ্ঠানটি। আগে প্রতি মাসে সাধারণত কেরুর মদ প্রায় সাড়ে ১২ হাজার থেকে ১৩ হাজার কেস বিক্রি হলেও এ বছরের অক্টোবরে এই সংখ্যা ১৮ হাজার ৫৭৯ কেস এবং নভেম্বরে ১৯ হাজার ৪৪৬ কেসে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির তিনটি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় আরও দুটি বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করছে তারা।
কেরু অ্যান্ড কোংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন বলেন, “ম্যানুয়াল সিস্টেম ব্যবহার না করে অটোমেশনের মাধ্যমে মদের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি আমরা। প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মদের উৎপাদন দ্বিগুণ হবে।”